আড়াইহাজার উপজেলার গত ৫ ই আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ধারাবাহিকভাবে লুটপাট ভাঙচুরের নিউজ বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর হঠাৎ করে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের কারণে, নারায়ণগঞ্জের সকল উপজেলা সংসদ সদস্য ও আওয়ামলীগের নেতাকর্মীরা দেশ ছাড়া ও এলাকা ছাড়া। বর্তমান পরিস্থিতিতে আড়াইহাজার উপজেলা সক্রিয় হয়েছে বিএনপি ও জামাত শিবিরের রাজনৈতিক সভা সমাবেশ। আড়াইহাজার উপজেলায় তথ্য সংরক্ষণ করতে গিয়ে দেখা যায় ২০১৩ সালের পর, মামলা হামলার ভয়ে, দীর্ঘদিন যারা নিজ এলাকায় ছিলনা, প্রবাসী ছিল। বিএনপির খোলস পাল্টিয়ে রাতারাতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত হয়েছে। বর্তমানে বিএনপির রাজনীতির সুসময়ে সুবিধাবাদীরা মাঠে সক্রিয় হয়েছে। নিজ এলাকায় অবস্থান করে বিএনপির দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছে। তথাকথিত বিএনপি নেতারা নিজ এলাকায় অবস্থান করে , আধিপত্য বিস্তার করছে। মাদক ব্যবসা চাঁদাবাজিতে সক্রিয় হচ্ছে আড়াইহাজার
উপজেলার, ইউনিয়ন ওয়ার্ড পর্যায়ে। বিএপির দলের নাম ভাঙ্গিয়ে ভাঙচুর লুটপাট নৈরাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে সুবিধাবাদীরা। বিভিন্ন শিল্পকরখানায় চাঁদার দাবিতে ভাঙচুর লুটপাট চালাচ্ছে। চাঁদা না পেলে হামলা মামলার শিকার হচ্ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা। আড়াইহাজারে রপ্তানি মুখী শিল্প-কলকারখানার ৩ মালিকের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিএনপি রাজনৈতিক দলের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত এডভোকেট রুমিন ফারহানা বলেন, দালালদের কোন দল নেই, তারা সকল দলের দপ্তর সম্পাদক। আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ বলেন, বসন্তের কোকিলদের আমাদের দলে ঠাই নাই । দেশের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।