নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে কোভিড-১৯ টেষ্টের জাল অনুমতিপত্র তৈরি করে দেশব্যাপী কোভিড-১৯ টেষ্টের জন্য লোক নিয়োগের নামে প্রতারণায় এক প্রতারক চক্রকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। গ্রেফতারকৃত মোঃ মোস্তাকিম আহমেদ(২৬) আড়াইহাজার থানাধীন বিশনন্দী পূর্বপাড়া এলাকার মোঃ নজরুল ইসলামের ছেলে।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) র্যাব-১১‘র উপ-পরিচালক ও কোম্পানী অধিনায়ক (আদমজীনগর, নারায়ণগঞ্জ) মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায় করোনা মহামারী প্রাদুর্ভাবের এই সময় কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে র্যাব নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১১, সিপিএসসি এর বিশেষ অভিযানে ২২ জুলাই বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আড়াইহাজার থানাধীন বিশনন্দী পূর্বপাড়া এলাকা হতে মোঃ মোস্তাকিম আহমেদ (২৬) গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে ( Md Mostakim Ahmed, Assistant General Manager, TKS HEALTH CARE ) লেখা একটি আইডি কার্ড ও স্বল্প মূল্যে নিজস্ব অর্থায়নে সরকার অনুমোদিত র্যাপিড কিট দিয়ে সারা দেশব্যাপী কোভিড-১৯ টেষ্ট সংক্রান্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ভূয়া আদেশনামার কপি জব্দ করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানায় গ্রেফতারকৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, মোঃ মোস্তাকিম আহমেদ এর বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানাধীন বিশনন্দী পূর্বপাড়া এলাকায়। সে টিকেএস হেলথ কেয়ার নামক একটি অস্তিত্বহীন ভূয়া প্রতিষ্ঠানের এজিএম। সে তার অন্যান্য সহযোগীদের পরষ্পর যোগসাজশে কোভিড-১৯ টেষ্ট সংক্রান্ত ভূয়া সরকারি অনুমতিপত্র তৈরি করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে অপলোড করে সারা দেশব্যাপী কোভিড-১৯ টেষ্ট কার্যক্রমে লোক নিয়োগ দেওয়ার নামে চাকুরী প্রত্যাশীদের নিকট হতে আবেদন ফি বাবদ বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে। বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নজরে এলে আইনি পদক্ষেপের জন্য তারা র্যাব’কে অবহিত করে এবং উক্ত বিষয়ে র্যাব কর্তৃক নিবিড় গোয়েন্দা অনুসন্ধান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত উক্ত প্রতারক চক্রকে সনাক্ত করা হয়। অতঃপর র্যাব-১১ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল কর্তৃক অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য মোঃ মোস্তাকিম আহমেদ’কে গ্রেফতার করা হয়।