শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ শুক্রবার | ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভারতীয় পেঁয়াজ কিনছে না ক্রেতারা, বিপাকে ব্যবসায়ীরা

রবিবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২১ | ৫:২০ পূর্বাহ্ণ

ভারতীয় পেঁয়াজ কিনছে না ক্রেতারা, বিপাকে ব্যবসায়ীরা

সংকটকালীন পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিলেও ভরা মৌসুমে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু করেছে ভারত। অন্যান্য বন্দরের মতো দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়েও ভারত থেকে আসছে পেঁয়াজ। কিন্তু ভারতীয় পেঁয়াজ আসলেও এসব পেঁয়াজে আগ্রহ নেই ক্রেতাদের। দেশি পেঁয়াজেই চাহিদা তাদের।

সরেজমিন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ না নিয়ে দেশি পেঁয়াজই কিনছেন ক্রেতারা। দামের পার্থক্য না থাকায় এবং মানের কথা ভেবে তারা দেশি পেঁয়াজই কিনছেন।

এদিকে আমদানি শুরুর প্রথম থেকেই আমদানিকৃত পেঁয়াজে লোকসান গুণতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। প্রতিটি ট্রাকে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা লোকসান হওয়ায় গত বুধবার (১৩ জানুয়ারি) থেকে আমদানি বন্ধ করে দেয় ব্যবসায়ীরা। তিনদিন বন্ধের পর শনিবার বিকেলে আবারও দুই ট্রাকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে। তবে বন্দরে পাইকার না থাকায় এসব পেঁয়াজ নিয়েও বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারকরা।

হিলিবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার আলম হোসেন বলেন, দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা নেই। তাছাড়া আমদানিকৃত পেঁয়াজের থেকে দেশিয় পেঁয়াজের গুণগত মান ভালো। আজকে বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে এসে বিপাকে পড়েছি। দেশি পেঁয়াজের থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম বেশি চাওয়ায় পেঁয়াজ না কিনে ঘুরে যাচ্ছি।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মাসুম জানান, দেশের বাজারে আমদানিকৃত পেঁয়াজের চাহিদা নেই। পেঁয়াজ আমদানি করে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। সরকার পেঁয়াজ আমদানি শুল্ক বাড়িছে অন্যদিকে দেশিয় পেঁয়াজের দাম কম। প্রতিটি ট্রাকে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে।

হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, শনিবার ভারতীয় দুটি ট্রাকে ৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।

উল্লেখ্য, ভারতে পেয়াজের মূল্য, পরিবহন খরচ ও বাংলাদেশের ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক যুক্ত করে বর্তমানে ভারত থেকে আমদানির পর প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম দাড়ায় ৩৫ থেকে ৩৭ টাকা। কিন্তু দেশের বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা করে। পাইকারি ও খুচরা ব্যাবসায়ীর মুনাফা ও অন্যান্য খরচ মিটিয়ে তা বাজার থেকে ক্রেতা কিনছেন সর্বোচ্চ ৪০ টাকা কেজি দরে।

অপরদিকে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৩৭ টাকা কেজি দরে বর্ডার থেকে কিনে রাজধানীসহ দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলে এনে তার পরিবহন খরচ ও পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতার মুনাফা মিটিয়ে ভোক্তার কাছে বিক্রি করতে হবে ৪২ থেকে ৪৩ টাকা কেজি দরে। তাই এ ব্যবসা কেউ করতে চাচ্ছেন না। সাধারণত দেশি পেঁয়াজের দামের তুলনায় আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে কমপক্ষে ৫ থেকে ৭ টাকা কম না হলে ভোক্তারা ভারতীয় পেয়াজ কিনতে চান না।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে দেশের বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। ভারতের পেঁয়াজ আমদানিতে লোকসানের সম্ভবনা দেখছেন আমদানিকরাকরা। সে কারণেই আপাতত পেঁয়াজ আমদানি করতে চাচ্ছেন না আমদানিকারকরা।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন