সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র-২ এবং ৩নং ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর শাহজলাল বাদলের ৪ সহযোগীর বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ও সেনা ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অবু সাইদ নামে এক প্রকৌশলী।
অভিযুক্তরা হলেন,মো. শাহআলম (৪৫), সেকুরুল ইসলাম (২) রিপন (৪৫), মো. রাজু মাষ্টার (৩২) ও মো. মুসা সুমন (৪৮) । ৪১ জন শেয়ার হোল্ডারের ২ কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার টাকার হিসেব না দিয়ে নানা ধরনের টালবাহানা শুরু করেছে ওই ৪ ব্যক্তি।
এবিষয়ে ভুত্তভোগীদের প্রজেক্ট প্রকৌশলী ও শেয়ার হোল্ডার মো. আবু সাঈদ বাদী হয়ে গত ১-১০-২০২৪ তারিখে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ও সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প পরিচালক নারায়ণগঞ্জ এর দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে প্রকৌশলী মো. আবু সাঈদ উল্লেখ করেছেন, ৪৫ জন শেয়ার হোল্ডার মিলে সিদ্ধিরগঞ্জের মুক্তিনগর এলাকায় যৌথভাবে মুক্তিনগর মদিনা টাওয়ার নামে একটি বিল্ডিং নির্মাণ এর উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। প্রকৌশলী ও শেয়ার হোল্ডার মো. অঅবু সাঈদ এই বিল্ডিংয়ের প্রজেক্ট প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
গত ১০-৫-২০২৩ তারিখ থেকে বিল্ডিং এর কাজ শুরু করা হয়। উক্ত বিল্ডিং এর শেয়ার হোল্ডারদের কমিটির মাধ্যমে মো. শাহআলম, সেকুরুল ইসলাম (২) রিপন , মো. রাজু মাষ্টার, ও মো. মুসা সুমনকে আর্থিক লেনদেন বিষয়সহ সংক্রান্ত ক্যাশিয়ার হিসেবে দায়িত্ব অর্পন করা হয়। তারা বেজসহ বিল্ডিং এর ৩য় তলা ছাদ ঢালাই শেষ করে কাজ বন্ধ করে দেয়। বিল্ডিং নির্মাণের খরচ হিসেবে ৪১ জন শেয়ার হোল্ডারদের কাছ থেকে ২ কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে।
গত ২৭-৯-২০২৪ তারিখ শেয়ার হোল্ডারদের নিয়ে মিটিং আহবান করা হলে ৪১ জন শেয়ার হোল্ডার মিটিংয়ে উপস্থিত হলেও ওই ক্যাশিয়ার ৪ জন শেয়ার হোল্ডার মিটিংয়ে আসেনি। সবাই ওই ৪ জনের কাছে টাকার হিসেব চাইলে তারা হিসেব না দিয়ে আর কাজ করবেনা এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এমনকি বেশী বাড়াবাড়ি করলে প্রাণনাশেরও হুমকি প্রদান করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রকৌশলী মো. আবু সাঈদ অভিযোগে বলেন, মো. শাহআলম,সেকুরুল ইসলাম (২) রিপন,মো. রাজু মাষ্টার ও মো. মুসা সুমন সাবেক কাউন্সিলর শাহজালাল বাদলের একনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে ভূমি দস্যূতা, চাঁদাবাজি, দখলবাজিসহ নানা কাজ অপককর্ম করেছে। আওয়ামীলীগ দলীয় সাবেক কাউন্সিলর বাদলের ছত্রছায়ায় বছরের পর বছর তার ক্যাডার এবং ক্যাশিয়ার হিসেবে কাজ করেছে। আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর ও এই ৪ জন এখনো বহাল তবিয়তে থেকে এলাকায় নানা অপকর্ম করে চলছে যার প্রমাণ শেয়ার হোল্ডারদের টাকা মেরে দিয়েছে এবং তারা হিসেবে চাওয়ায় তাদের প্রাণনাশেরও হুমকি ধমকি দিচ্ছে।
উল্লেখ্য যে গত বছর একটি জমিতে জোরপূর্বক এই ৪ জনে এক ব্যক্তির জমি দখল করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছিল। সেই সাইনাের্ডের চিত্র ধারণ করতে গেলে এক সাংবাদিককে মারধর করে। এদিকে ভুক্তভোগী ৪১ জন শেয়ার হোল্ডার ওই ৪ জনের জুলুম অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।###