শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ শুক্রবার | ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বন্দরে সাংবাদিক ইলিয়াস হত্যার সুষ্ঠ বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা

শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০ | ২:১৩ অপরাহ্ণ

বন্দরে সাংবাদিক ইলিয়াস হত্যার সুষ্ঠ বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা

বন্দর প্রতিনিধি:
সাংবাদিক ইলিয়াস হত্যার সুষ্ঠ বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা এবং বিক্ষোভ মিছিল করেছে সম্মিলিত সাংবাদিক জোট। শনিবার (১৭ অক্টোবর) বেলা ১০ টায় বন্দর প্রেসক্লাবের উদ্দ্যোগে এ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। বন্দর প্রসক্লাব’র সভাপতি মোবারক হোসেন কমল খানের
সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় সংহতি প্রকাশ করে সাংবাদিক নেতারা বক্তব্যে বলেন, আমরা আর প্রতিবাদ জানাতে চাইনা। সময় এসেছে প্রতিরোধ করার। আমাদের লেখনী অস্ত্রের চাইতে শক্তিশালী। ইলিয়াসকে যারা হত্যা করেছে তারা মদক ও গ্যাস চুরির সাথে জড়িত। হত্যাকান্ডের মূল হোতা মাসুদ প্রধানের অফিসে আসা যাওয়া ছিল স্থানীয় কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তার। শুধু মাসুদ প্রধানই নয় তাদের আশ্রয় দাতাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনুন। ইলিয়সের পরিবারের প্রতি
সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেই। তারা আজ বড় অসহায়। সাংবাদিক নেতারা আরো বলেন, সন্ত্রাসীরা যেন আর কোন সাংবাদিকের উপর হামলা করতে সাহস না পায় তারজন্য ইলিয়াস হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবী করছি। এলাকাভিত্তিক কিশোর অপরাধী ও মাদক বিক্রেতা এবং গ্যাস চোরদেরকে কারা সেল্টার দেয়? তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনুন। বক্তারা আরো বলেন, সাংবাদিক হত্যা ঘটণায় পুলিশ’র ভূমিকা রহস্য জনক। তাদের কোন ভূমিকা নেই। ইলিয়াস হত্যার আসামীদেরকে জনতা ধরেছে। পুলিশ এখনও একজনকে ধরতে পারেনি। স্থানীয় প্রশাসন নিহতের পরিবারের কোন খোঁজ খবর নিচ্ছে না। খুনিরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আসামীরা বাদীসহ পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে। বক্তারা বলেন, আপনারা গ্যাস চুরি, মাদক বিক্রি করবেন আমরা প্রকাশ করলেই আমাদের উপর হামলা কিংবা হত্যা করবেন এভাবে চলতে পারে না। বন্দর
প্রেসক্লাবের সভাপতি কমল খান তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রশাসনের ব্যার্থতায় বন্দরে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে। শুধু প্রশাসনই নয় সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যে ভাবে কিশোর অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে তা বন্ধ করতে হবে। ইলিয়স হত্যাকান্ডের মামলার যে ধীরগতি তাতে আমরা সন্তুষ্ট না। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বাকী ৫ জনকে গ্রেফতার করুন। যারা খুনিদের সেল্টারদাতা তাদেরকে
চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিন। কমল খান আরো বলেন, আমাদের রাজপথে নামতে বাধ্য করবেন না। তিন মাসের মধ্যে এ হত্যাকান্ডের বিচার করতে হবে। সাংবাদিকরা রাজপথে নামলে কাউকে লাগবে না। প্রয়োজনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবরোধ করা হবে। আগামী সোমবার বন্দর
আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ বিষয়ে আলোচনা করবো। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্বারকলিপি প্রদান করবো। এসময় কমল খান সেক্রেটারী মহিউদ্দিন সিদ্দিকী ও সাংবাদিক সাব্বির আহম্মেদ সেন্টুর সমন্ময়ে নিহত সাংবাদিক ইলিয়াসের পরিবারকে সহায়তার জন্য একটি ফান্ড গঠন করেন। ফান্ডে কমল খান ১০ হাজার, বন্দর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী ৫ হাজার ও আজকের নীরবাংলা পত্রিকার সহ সম্পাদহ শরীফ হাসান চিশিÍ ২ হাজার টাকা সহায়তা জমাদেন ফান্ডে। বক্ত্য রাখেন, বন্দর প্রেসক্লা’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জি এম মাসুদ, সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান, কার্যকরী কমিটির সাধারণ-সম্পাদক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী, সহ-সাধারণ-সম্পাদক হাজী মোঃ নাসির উদ্দিন, সদস্য মাহফুজ জাহিদ, নিহত ইলিয়াসের মা এবং ছোট ভাই মোঃ সানোয়ার হোসেন, নাসিক ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর, ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব হান্নান সরকার, ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ সুলতান আহম্মেদ। সম্পাদক ফয়েজ উদ্দিন লাভলু, দৈনিক দেশ পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি খো: মাসুদুর রহমান দিপু, সকাল নারায়ণগঞ্জ এর প্রকাশক ও সম্পাদক ছায়ানুর তালুকদার, সম্পাদক তৌকির আহম্মেদ রাসেল, সহ সম্পাদক শরীফ হাসান চিশ্তি। সাংবাদিক সাব্বির আহম্মেদ সেন্টুর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় আরো বক্ত্য রাখেন সাংবাদিক নেতা জাহাঙ্গীর ডালিম, মোঃ শহীদুল্লাহ, সুলতান মাহমুদ, বি এম ইউনিয়ন স্কুল কলেজ গভর্নিং কমিটির সদস্য পনির ভূইয়া, স্থানীয় শ্রমিকলীগ নেতা মোঃ আলী হোসেন, সমাজ সেবক মোঃ নুরুল ইসলাম মিয়া, মোঃ শাহ আলম, মনির হোসেন, আব্দুর রহিম, শহিদুল্লাহ রাসেল, মোখলেছুর রহমান তোতা, অনিক, আব্দুল্লাহ আল মামুন, হাবিবুর রহমান, মোমেন ইসলাম, সাইফুল্লাহ মাহমুদ টিটু, আনোয়ারুল হক, এম.আর. হায়দার রানা। উপস্থিত ছিলেন, বন্দর প্রেসক্লাবের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক, নির্বাহী সদস্য জি এম মজনু, জি এম সুমন, মো: সহিদুল ইসলাম শিপু, শেখ আরিফ, দিপু, শাহাজামাল, মেহদী হাসান রিপনসহ জেলার প্রায় ৫ শতাধীক সাংবাদিক মানবাধিকারকর্মী এবং গন্যমান্য নারী পুরুষ মানববন্ধনে অংশ নেন। পরে বিক্ষোভ মিছিল খেয়া ঘাটে গিয়ে শেষ হয়।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন