
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশর সোর্স একাধিক মামলার আসামি ইকবাল দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের নাম ভাঙ্গিয় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পুরা থানা এলাকা। নানা অভিযোগে অভিযুক্ত পুলিশের সোর্স ইকবাল সুযোগ বুঝে থানার পার্শ্ববর্তী অন্য থানা এলাকাতেও নির্বিঘ্নে অপরাধ সংগঠিত করছে।
গত বৃহস্পতিবার (৫’জুন ) রাত সাড়ে নয়’টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল ট্রাকস্ট্যান্ডের পাশে রিভারভিউ রেস্টুরেন্টে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এক দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় নগদ ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও ৮টি মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান মালামাল লুট কর নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের সোর্স ইকবালকে প্রধান অভিযুক্ত করে অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনের বিরুদ্ধ একটি লিখিত অভিযাগ দায়ের করা হয়।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাত সাড়ে নয়’টার দিক থানার শিমরাইল ট্রাকস্ট্যান্ডের পাশে রিভারভিউ রেস্টুরেন্টে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে ওয়াকিটকি ও স্টিলর লাঠি হাতে ডাকাত দলের ১০/১২ জন অতর্কিত ভাবে হোটেলে প্রবেশ করে ম্যানেজারসহ স্টাফদের এলাপাথারী মারপিট করে তাদের শরির নীলাফুলা জখম করে এবং প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয় চুপচাপ থাকতে বলে।
এসময় ডাকাতরা রেস্টুরেন্টের ক্যাশে থাকা নগদ ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকাসহ ম্যানেজার ও স্টাফদের ৮টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তাদের ভিতরে আটক রেখে বাহির থেকে গেইট লাগিয়ে ডাকাতদল পালিয় যায়।
পরবর্তীতে ভিতরে আটক থাকা ম্যানেজার ও স্টাফদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের সাধারণ লোকজন গেইট খুলে তাদের উদ্ধার কর।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি দক্ষিনপাড়া এলাকার হাফিজুল ইসলামের ছেলে একাধিক মামলার আসামী পুলিশের সোর্স ইকবাল। গত আওয়ামীলীগ সরকারের সময় পুলিশের সাথে গাড়ি, মোটরসাইকল, হ্যান্ডকাফ নিয় আসামি ধরতে ঘুরে বেড়ানার কারণে অনেকে তাকে পুলিশই মনে করতো। বিভিন্ন জায়গায় নিজেই পুলিশ পরিচয়ে গ্রেপ্তারের নামে ফিটিং বানিজ্য করে বেড়ায়। এছাড়াও
সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় রাতে চলাচলরত সাধারণ মানুষকে তল্লাশির নামে পকেটে ইয়াবা কিংবা গঁাজার পুরিয়া দিয়ে ফিটিং দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধ। আবার কখনও কখনও মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়েও সে নিরপরাধ মানুষের অর্থকড়ি হাতিয়ে নেয়।
এছাড়াও পুলিশের সাথে আতাত কর ইকবাল বিভিন্ন এলাকায় মাদক সাপ্লাই দিয়ে ধংস করে দিচ্ছে উঠতি বয়সের যুবকদের ভবিষ্যৎ।
একাধিক সূত্রমতে, সোর্স ইকবালের ভুয়া তথ্য পুলিশ সদস্যদরও অনক সময় অনাকাক্ষিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। আবার অপরাধীদর নির্বিঘ্ন অপরাধ সংঘঠিত করে পার পেয়ে যায়। ইকবাল নাসিক ১, ২, ৩ ও ৪ নং ওয়ার্ড`র প্রতিটি এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বিশেষ করে নাসিক ৪ নং ওয়ার্ড শিমরাইল এলাকার প্রতিটি মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিদিন ৬টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত গড়ে ৫’শ থেকে ১’হাজার টাকা করে চঁাদা আদায় করে এবং পুলিশ আসার ভয় দেখিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদর কাছ থেকে এক কালিন ৫ থেকে ১০’হাজার টাকা আদায় করে। পুলিশ অভিযানে আসার আগেই ইকবাল মাদক ব্যবসায়ীদের বলে দেয় পুলিশ আসতেছে এখন মাদক ব্যবসা বন্ধ কর, অন্যথায় ধরে নিয়ে গেলে আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না।