বুধবার, ৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ বুধবার | ৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

পাসপোর্টে নিজের নাম পরিবর্তন করে জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধ টাকা উপার্জনকারী কে এই নজু?

রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ৯:৪০ অপরাহ্ণ

পাসপোর্টে নিজের নাম পরিবর্তন করে জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধ টাকা উপার্জনকারী কে এই নজু?

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নের নজরুল ইসলাম নজুর বিরুদ্ধে পাসপোর্টে নাম পরিবর্তন করে প্রতারণার মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীমের যোগসাজসে অভিনব কায়দায় হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার করার অভিযোগ করা হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর চেয়ারম্যান বরাবর।

দূর্নীতি দমন কমিশন সূত্রে জানা যায়,নিজের নাম পরিবর্তন করে অন্য নামে পাসপোর্ট তৈরী করে হুন্ডির মাধ্যমে অবৈধ টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে নজরুল ইসলাম নজু।

অভিযোগকারী মেহেদী হাসান (পিতা:মৃত আব্দুর রশিদ)-এর অভিযোগ থেকে জানা যায়,জাতীয় পরিচয়পত্রে নজরুল ইসলাম নাম থাকা সত্ত্বেও পাসপোর্টে তার নাম ফয়সাল এবং পিতার নাম রফিক মিয়া ব্যবহার করে আসছে। অথচ প্রকৃতপক্ষে তার বাবার নাম জহর মিয়া।যা বাংলাদেশের ফৌজদারী আইনে মারাত্মক অপরাধ।

এই পাসপোর্ট ব্যবহার করে সে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে শরীয়তপুরের এমপি এবং আওয়ামীলীগ সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের ছত্র ছায়ায় বিদেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে অবৈধভাবে ব্যবসা করে আসছে। যা এখনও বিদ্যমান।বিগত জুলাই আগস্টের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকে ছাত্রদের বিরোধিতা করে সে অনেক হত্যা কান্ডের মধ্যে জড়িত ছিলেন এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষে বহু অনুদানও দেন বলে জানা যায়। কিন্তু হাসিনার সরকারের পতনের পর এলাকার কিছু নামধারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের মাধ্যমে জুলাই আন্দোলনে নিহত-আহতদের অনুদান দিয়ে নিজেকে তাদের পক্ষের বলে প্রচারণা চালালেও শেষ রক্ষা হয়নি।তার নামে নারায়ণগঞ্জের আমলী আদালতে জুলাই গণহত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। যে মামলাটিকে এফআইআর করতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাকে নির্দেশ দেয় আদালত। ফলে সে এখন জুলাই গণহত্যার এফআইআরভুক্ত আসামি। কয়েকমাস আগে সে বিএনপিতে যোগদানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন বলে জানা যায়।

ঢাকা ও তার গ্রামের বাড়িতে নামে ও বেনামে অনেক অবৈধ সম্পদ রয়েছে,যাহা তদন্ত করলে সত্যতা পাওয়া যাবে বলে জানা যায়।এমন কি হুন্ডির মাধ্যমে আনা টাকাগুলো তারই শ্যালক রাশেদুল ইসলাম, পিতা:রফিক মিয়া,গ্রাম:লাউর ফতেহ্পুর,পো: লাউর ফতেহ্পুর, থানা নবীনগর,জেলা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-এর নামে জমা রাখা হয় এবং তারই মাধ্যমে সমস্ত টাকা পয়সা পরিচালনা করা হয়। যাহা সুষ্ঠু তদন্ত করলে জানা যাবে। সরকারী রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ সহ ফ্যাসিস্ট সরকারের একজন ঘনিষ্ট পৃষ্ঠপোষক ও অর্থ যোগাদান দাতাকে শাস্তির আওতায় আনার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

তার বিরুদ্ধে দূদকে অভিযোগ দায়েরের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। নিজের অপকর্ম ঢাকতে তড়িঘড়ি করে হতদরিদ্র মানুষদের টাকার বিনিময়ে এনে প্রতিবাদ সমাবেশ করে আরও ফেঁসে গেলেন বলে মনে করছেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার একজন সাবেক মেম্বার।

সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে এ প্রতিবেদক জানতে পারেন একটি হতদরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া ও লেখাপড়া না জানা এবং একজন দিনমজুরের ছেলে নজুর আয়ের উৎস হলো সৌদিআরবে অবৈধ তেলের ব্যবসার নাম করে দেশ থেকে ভূয়া আদম ব্যবসার মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনই হলো তার একমাত্র আয়ের উৎস।
এসব অবৈধ টাকা দিয়ে নেশাখোর ও টাউট-বাটপারদের মাধ্যমে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে এহেন কোনও অপকর্ম নেই যাতে সে জড়িত হন না। ইতোমধ্যেই তার বিরুদ্ধে এলাকার জনসাধারণ ক্ষুব্ধ হতে শুরু করেছে।

তার অবৈধ পাসপোর্ট ব্যবহার সম্পর্কে ইমিগ্রেশনের এক উর্ধ্বতন কর্মকতার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এতদ্বিষয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং সত্যতা প্রমাণিত হলে তাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হবে।

এসব বিষয়ের সত্যতা জানতে আমাদের প্রতিবেদক নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেস্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন