
ফতুল্লার কুতুবপুরে বেপরোয়া খলিল বাহিনীর হামলায় নারী পুরুষ শিশুসহ ১০ জনের উপর নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটেছে। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুরের নয়ামাটি মুসলিম পাড়া এলাকায় ৩ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে ৩ জন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এঘটনায় হামলার শিকার ভুক্তভোগী নারী ঝর্ণা বেগম বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় খলিল সহ ১১জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২০-২৫ জনকে অভিযুক্ত করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী নারী ঝর্ণা বেগম অভিযোগে উল্লেখ করেন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ২০০ শতাধিক কিশোর অপরাধীদের নিয়ে বাড়ি ঘর সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় খলিল বাহিনী। এসময় নয়ামাটি শাহী বাজার সহ আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
জানা যায় দীর্ঘ দিন যাবত উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের,পাগলা নয়ামাটি, মুসলিম পাড়া, শাহী বাজার, বৌ বাজার সহ আশপাশের এলাকায়, ভাসমান কিশোর অপরাধীদের সঙ্গবদ্ধ করে মাদকের নিয়ন্ত্রণ, চোর সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বাঙারী ব্যবসা, এলাকায় কেউ নির্মাণ কাজ করলে বাসায় কিশোর অপরাধীদের নিয়ে উপস্থিত হন খলিল বাহিনীর প্রধান দাদা খলিল সহ বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা। ইট-বালি সিমেন্ট জোর পূর্বক নিতে বাধ্য করা হয়। অনুসন্ধানে জানা যায় কুতুবপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মীর হোসেন মীরুর ছত্রছায়ায় থেকে দীর্ঘদিন যাবত এমন অপরাধ কর্মযজ্ঞ্য চালিয়ে যাচ্ছে খলিল বাহিনী।