বুধবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ বুধবার | ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গণমাধ্যমে পেশাগত দায়িত্ব পালনে ঝুকি বেশী, আত্মনির্ভরশীলে নেই কোন উদ্যেগ-দিপু

বুধবার, ১৭ জুন ২০২০ | ৩:৪৭ অপরাহ্ণ

গণমাধ্যমে পেশাগত দায়িত্ব পালনে ঝুকি বেশী, আত্মনির্ভরশীলে নেই কোন উদ্যেগ-দিপু

বিশেষ প্রতিনিধি : সাংবাদিকতা একটি মহৎ পেশা, বহিবিশ্বে ও এশিয়া মহাদেশে এই পেশায় যারা নিয়োজিত আছেন তারা আত্মমর্যাদার সাথে পেশার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে এশিয়া মহাদেশে এই পেশায় নিয়োজিত সংখক বেশি থাকায় অধিকাংশ গণমাধ্যম কর্মিগণ জিবন জীবিকা নির্বাহে হিমশিম খাচ্ছে। সরকারের সদইচ্ছা থাকা সত্বেও তেমন কোন সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছেনা শুধুমাত্র সংখ্যক বেশি হওয়ায়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে পত্রিকার সংখ্যাও যেমন বেশি তেমন পেশায় নিয়োজিত সংখ্যাও বেশি। দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক, অনলাইন পোটাল,ইলেকট্রিক মিডিয়া সহ কিছু মানবাধিকার সংস্থাও সংবাদ প্রকাশিত কাজে নিয়োজিত।
সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকগণ অতি নিষ্ঠার সাথে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করে থাকে। মাঠ পর্যায় থেকে শুরু করে অধিকাংশ সাংবাদিকদের সু নিদিষ্ট কোন বেতন ভাতা না থাকায় তারা অসহায় জীবন যাপন করছে। সংবাদকর্মীদের দৈনন্দিন কাজের উপর নির্ভরশীল হয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। সরকারী, বেসরকারী, রাজনৈতিক ও বিভিন্ন সংস্থার সংবাদ সংগ্রহে যা উর্পাজন হয় তা দিয়ে একজন সংবাদ কর্মির সাংসারিক জীবনে প্রতিমাসে অভাব অনটনের বোঝা বয়তে হয়। অবহেলীত গরিব দুঃখী কলম সৈনিক যারা রাষ্ট্রের জন্য কাজ করছে,সমাজের জন্য কাজ করছে, দেশের জন্য জীবন বাজী রেখে সংবাদ সংগ্রহ করছে তাদের পাশে দাড়ানোর সকলের নৈতিক দায়িত্ব থাকলেও অধিকাংশ সংবাদকর্মী অবহেলীত।

সাংবাদিকগণ সংবাদ কাভারেজে অনেক সময় জীবনের ঝুকি নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে এমনকি দূর্ঘটনার শিকার হয়ে মারাও যায় অথবা জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়,পরবর্তিতে জানা যায় সে নিজ খরচে চিকিৎসা সম্পাদন করেন। পরবর্তিতে দেখা যায় যে সংস্থ্যার মাধ্যমে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন ঐ সংস্থা কিছুটা আর্থিক সহায়তা করেন আর অধিকাংশ নিজ থেকেই ভর্তূকি দিতে হচ্ছে। আমরা সংবাদ পত্রে কাজ করি সংবাদপত্র বা সংবাদ মাধ্যমকে বলা হয় জনগনের কন্ঠস্বর বা জাতির বিবেক।

একটি দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন সংবাদ পত্রের অবদান অনেক। জনমতের ধারক ও বাহক হিসেবে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থাকে সক্রিয় রাখতে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে সে দেশের সংবাদপত্র। সংবাদপত্রে যিনি কাজ করেন তার যেমন স্বাধীনভাবে লেখার অধিকার রয়েছে তেমনি দেশের নাগরিক হিসেবে সেই অধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাও রয়েছে। আমরা সকলেই অবগত আছি সারা দেশে গণমাধ্যম ব্যক্তিদের নিয়ে বিভিন্ন ক্লাব,প্রেস ক্লাব তৈরী হয়েছে কিন্তু এর কার্যক্রম হচ্ছে আবার ঘড়ির কাটার মত হঠাৎ থেমেও যাচ্ছে এর রহস্য কোথায় ? সাংবাদিকগণ ঐক্যবদ্ধ আবার ঐক্যবদ্ধ না তার কারণ হিসেবে কাজ করছে হিংসা আর বির্দ্বেষ সবাইকে কুড়িয়ে খাচ্ছে। ছোট বড় এই মাপ খাটির ভেদাভেদ সৃষ্টি করা হচ্ছে আর মদদদাতা হিসেবে কাজ করছে কিছু মুখোশধারী সুবিধাবাদি সংস্থা। তবে এখনও নিজেদের মধ্যে ঐক্যতা আছে বলেই আজ সাংবাদিকগণ সমাজের বিবেকবান পুরুষ হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত।

একজন সাংবাদিকের কলমে লেখনির মধ্যদিয়ে দেশের যে কোন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ জনগণকে অবগত করে সহযোগিতা করে থাকেন। আমরা এই মহতি পেশাকে সম্মান জানাই পাশাপাশি সমাজের আয়না বা দর্পন হিসেবে দেশকে ভাল কিছু উপহার দিতে একত্রিত হয়ে কাজ করতে চাই। যে কোন পেশায় নিয়োজিত থাকতে প্রত্যেকেরই অভিভাবকের প্রয়োজন সেক্ষেত্রে সংগঠনই হচ্ছে পেশার মূল অভিভাবক বা চালিকাশক্তি। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ অধিকারী হয়ে নিজেকে সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত রেখে সকল প্রকার ত্যাগ শিকার করা উচিৎ তবে সংবিধান লঙ্ঘন করে নয়। জাতির বিবেকবান পুরুষদের সমাজের দর্পন বা আয়না বলা হলেও জীবন জীবিকা পরিচালনার ক্ষেত্রে আমরা অসহাত্ব দিন জীবন যাপন করছি এর থেকে উত্তোলনের পথ আমাদেরকেই বের করতে হবে এবং পারি দিতে হবে দীর্ঘ পথ।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন