একাধিক হত্যা মামলার আসামি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি শামীম ওসমান পুত্র অয়ন ওসমান, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম ও নাসিক ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহ জালাল বাদলের ভুমি দস্যুতার অবৈধ অর্থ যোগানদাতা ও সেই শাহজাহান সাজু সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হত্যা মামলার আসামি হয়েও বিএনপির ছত্র-ছায়ায় ফের বেপরোয়া উঠেছে। এনিয়ে বিএনপির তৃনমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ নাসিক ৩নং ওয়ার্ড এলাকার আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালীন সময়ে ওসমান পরিবারের প্রভাব দেখিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ভুমিদস্যুতা সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। এছাড়াও আওয়ামীলীগের আনেক নেতা ও ওসমান পরিবারসহ বিভিন্ন লোকদের আস্থাভাজন সে। আওয়ামীলীগের মিটিং-মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচীতেও তার ভুমিকা ছিলো অগ্রগন্য।
ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ঠ ব্যাক্তি হয়ে অয়ন ওসমান ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নাম ভাংগিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৩নং ওয়ার্ডে জোরপূর্বক জমি দখল বেদখল করে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তের মালিক বনে গেছেন। দুবাইতেও গড়ে তোলেছেন আলিশান বাড়ি ও মার্কেট।
এমনকি তার ওই অবৈধ কর্মকান্ড নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে বিশেষ পেশার দুই ব্যাক্তিতে বানিয়েছেন তার অনুচর। গণমাধ্যমে তার অবৈধ কোনো কর্মকান্ডের প্রতিবেদন প্রকাশের ইঙ্গিত কিম্বা প্রকাশ পেলে শুরু হত তাদের দৌড়ঝাপ। এরপর তারা তাদের নিয়ন্ত্রিত পোর্টালে সাজুর গুনগান গেয়ে সংবাদ পরিবেশন করতো। এর বদৌলতে তারা নিজেরাও বনে গেছেন অঢেল সম্পদের মালিক।
গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকারের পতনের পর সবাই আত্মগোপনে গেলেও ভূমিদস্যু শাহজাহান সাজু বিএনপি-জামায়ত নেতাকর্মীদের ম্যানেজ করে এলাকায় বীরদর্পে ধাপড়িয়ে বেড়াচ্ছেন। সাজু বিএনপির ছায়াতলে গিয়ে তাদের ম্যানেজ করে ভূমিদস্যুতার কর্মকান্ড পুনরায় চালু করে ফের পূর্বের ন্যায় বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
ভুক্তভোগীদের দাবি সাজু ও তার সহচরদের এখনই রুখতে হবে। নচেৎ বিএনপির ছত্রছায়ায় থেকে সে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পাড়ি জমাবে দুবাইতে। এতে সর্বশান্ত হয়ে পথে বসে পড়বে অনেক সাধারণ মানুষ। এরআগেও ওসমান পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে অনেকেই ফতুর করে এলাকা ছাড়া করেছেন সাজু ও তার লোকজন।
এ বিষয়ে জানতে শাহজাহান সাজুর মোবাইলে ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।