বুধবার, ৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ বুধবার | ৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

গিরগিটি স্বভাবের মাসুম রানার বর্তমান টার্গেট বিএনপির বড় পদ

বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১২:৪২ অপরাহ্ণ

গিরগিটি স্বভাবের মাসুম রানার বর্তমান টার্গেট বিএনপির বড় পদ

স্টাফ রিপোর্টার:-
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের পিরোজপুর ইউনিয়নের বিশিষ্ট শিল্পপতি ও রাজনীতিতে দ্বিতীয় এরশাদ। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ এর মতই ইতিমধ্যে পল্টিবাজ মাসুম রানা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। সেই পথেই হাঁটছেন সোনারগাঁওয়ের বিশিষ্ট শিল্পপতি ও রাজনীতিতে ডিগবাজিবাজ মাসুম রানা। তাঁর রাজনীতির বহুরূপ যেন কারো কাছে অজানা নয়। কখনো চরমোনাই ,কখনো আবার জাতীয় পার্টি, আবার কখনো আওয়ামী লীগ। এখন বর্তমানে বিএনপির বড় পদ পাওয়ায় যেন তার আকাঙ্ক্ষা। তার টাকার কাছে হার মানছে তৃণমূল বিএনপি’র নেতাকর্মীরা। জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাদের পুনর্বাসন যেন তার মুখ্য উদ্দেশ্য। তার অঢেল অর্থের কাছে অন্ধ হয়ে যাচ্ছে সোনারগাঁয়ের বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা।

উল্লেখ্য, গত ১৭ বছরে বিএনপির নেতাকর্মীরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হলেও মাসুম রানা জাতীয় পার্টি ও আওয়ামীলীগের সাথে আঁতাত
করে নিজের আখের গুছিয়েছেন। জাতীয় পার্টির এমপি এবং আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম চেয়ারম্যানের সাথে ছিল তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তিনি সে সময় বিএনপিকে বিদায় জানিয়ে যোগদান করেন ইসলামি আন্দোলনে। ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমকে চেয়ারম্যান হিসেবে জয়ী করতে বিএনপি সমর্থিত রফিকুল ইসলাম বিডিআরের বিরুদ্ধে হাত পাখার ডামী প্রার্থী ছিলেন। বিএনপি সমর্থিত রফিকুল ইসলাম বিডিআর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে তিনি আর নির্বাচন না করে সমঝোতায় চলে আসেন। এভাবেই আওয়ামী শাসনামলের ১৭ বছরে মাসুম রানা জাতীয় পার্টি ও আওয়ামীলীগকে সন্তুষ্ট রেখে নিজের ব্যবসা চালিয়ে গেছেন।

তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগ মাসুম রানার টাকার স্রোতে ভেসে যাচ্ছে বিএনপির ত্যাগী নেতা-কর্মীরা। ৫ আগষ্টের পর থেকে ত্যাগীদের বঞ্চিত করে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সর্বদলীয় এ নেতা। এ নিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অন্দরমহলে দালালচক্র সুবিধাভোগের মাধ্যমে দলে অন্তধন্ধ সৃষ্টি করে বিএনপির সচল নেতৃত্বকে কলুষিত করছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এখনই সুবিধাবাদীদের দলের বাইরে রেখে দীর্ঘদিনের সুবিধাবঞ্চিত ত্যাগী, মামলা- হামলার শিকার নেতা-কর্মীদের দলে সঠিক মূল্যায়ন করা অনিবার্য। নতুবা সোনারগাঁয়ে এখন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে যে নিন্দা ও ক্ষোভের জন্ম নিয়েছে ভবিষ্যতে তা আরো বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়ায় রুপ নেবে।

এবিষয়ে মাসুম রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দীর্ঘ সময় যাবদ তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসনের কারনে প্রচার প্রচারনা করতে পারেননি। তাই হয়তো অনেকেই আমাকে ভুল বুঝতে পারে।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন