যুদ্ধাপরাধ, নিরাপদ সড়ক, কোটা আন্দোলন, রোহিঙ্গার মতো ইস্যুতে খবর প্রচারের ক্ষেত্রেই আল-জাজিরার বস্তুনিষ্ঠতা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। বাংলাদেশকে হেয় করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে গণমাধ্যমটির বিরুদ্ধে। আবারো বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে নতুন এজেন্ডা নিয়ে মাঠে নেমেছে আল-জাজিরা।
সামাজিক কিংবা রাজনৈতিক বাংলাদেশের যে কোনো আন্দোলন, ইস্যু ও সংকট নিয়ে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। রাজনৈতিক রং লাগিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করা কিংবা সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই তাদের লক্ষ্য বলে মনে করেন অনেকে।
৬ বছর আগে যুদ্ধাপরাধ মামলায় জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলীর ফাঁসির রায়ের পর মরিয়া হয়ে ওঠে আল-জাজিরা। পরদিনই জামায়াতের নিয়োগ করা লবিস্ট টবি ক্যাডম্যান ও ডেভিড বার্গম্যানকে নিয়ে আয়োজন করা হয় এক অনুষ্ঠানের। হোয়াটস বিহাইন্ড বাংলাদেশ ওয়ার ক্রাইমস ট্রায়াল নামক ওই অনুষ্ঠানে যুদ্ধাপরাধের বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে নানা বক্তব্য দেন টবি ও বার্গম্যান। যুদ্ধাপরাধের বিচারে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সমান সুযোগ পেলেও একতরফা বিচার বলে প্রচার করেছে তারা।
এ ছাড়া বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরতে একের পর এক বিতর্কিত প্রতিবেদন করেছে আল-জাজিরা। যার অধিকাংশই করেছেন বিতর্কিত সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান।
শুধু যুদ্ধাপরাধ ইস্যু নয়, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, কোটা সংস্কার আন্দোলন এমনকি রোহিঙ্গা ইস্যুতেও নেতিবাচক খবর প্রচার করেছে গণমাধ্যমটি। নিরাপদ সড়কের আন্দোলনকে পুঁজি করে একের পর সরকারের নানা সমালোচনা করা হয় আল-জাজিরাতে। এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় সরকারবিরোধীদের।
এ ছাড়া বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র্যাবকে জড়িয়ে বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গুম ও খুনের বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদনও প্রচার করে আসছে গণমাধ্যমটি।