বৃহস্পতিবার, ২৬শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজ বৃহস্পতিবার | ২৬শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষের কান্ডারী শাহ আলম

সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫ | ১০:১৪ অপরাহ্ণ

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষের কান্ডারী শাহ আলম

নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় এসেছেন শিল্পপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহ আলম। কেন্দ্রীয় কমিটির এ সদস্য এর আগে থানা বিএনপির সভাপতি ও জেলা কমিটির সহ সভাপতির মত পদে ছিলেন তিনি। এই আসনটি ধানের শীষের প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। তবে বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মীই স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ হিসেবে বেছে নিয়েছেন শিল্পপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহ আলমকে।

এদিকে ২০০৬ সালের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহ আলম। তিনি নৌকা প্রার্থী সারাহ বেগম কবরীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে অল্প ভোটে হেরেছেন। কিন্তু বিগত নির্বাচনে তিনি আর অংশ নেননি। তার জায়গায় এসেছেন হেফাজতে ইসলামের নেতা মনির হোসেন কাশেমী। ২০১৯ সালে শারীরিক কারণে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি পদ থেকে শাহ আলম দল থেকে নিজেই পদত্যাগ করেন।
ফতুল্লার এই শিল্পপতি বিএনপি নেতা আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহ আলম বিগত দিনে রাজনীতিতে নিস্ক্রিয় থাকলেও স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ ও ক্লিন ইমেজ থাকায় দল তাঁকে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লার সিদ্ধিরগঞ্জ) গুরুত্বপূর্ণ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছেন তাকে। ‘ইতিমধ্যে দল থেকে তাকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজনীতির ময়দান নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে দেখা যাবে এই নেতাকে।
বেশ কয়েকজন বিএনপির প্রবীন রাজনীতিবিদের সাথে আলাপ কালে তারা জানায়, নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লার সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে শাহ আলমের বিকল্প নেই তিনি স্বচ্ছ ও সর্বজন গৃহীত একজন ব্যক্তিত্ব। নেই কোন অহংকার কিংবা ছিটেফোঁটা বিতর্ক। দলও তাঁকে নিয়ে ভাবছেন। হাই কমান্ড মনে করছেন শাহ আলমের মত নেতাকে নির্বাচনে মনোনয়ন দিলে দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। সকলেই তাঁকে সাদরে গ্রহণ করবে। বিএনপিও এর সুফল নিতে চান।
এদিকে গত (১৮ জুন ২০২৫) বুধবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির ঈদ পুরনমিলনী অনুষ্ঠানে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন আমি নারায়ণগঞ্জের সব থেকে সংকটময় সময়ে জেলা বিএনপির সভাপতি দায়িত্বে ছিলাম। সারা নারায়ণগঞ্জকে একত্রে রেখেছি। তখন সকল নেতাকর্মীদের সাথে বিনিময় করে আমি নেতৃত্ব দিয়েছি। তাই সকলে আমাকে পছন্দ করে। আমার দল যদি নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি নির্বাচন এলাকার মধ্যে যেকোনো একটিতে আমাকে ব্যবহার করে তাহলে আমি প্রস্তুত। যদি একটাও আমাকে না দেওয়া হয় তাহলেও কষ্ট নেই, দলের হয়ে কাজ করবো। তাই আমাকে নিয়ে কোন জায়গায়
তর্ক বিতর্ক করার দরকার নেই। আমি একমাত্র হাজির নাজির আল্লাহকে বিশ্বাস করি এবং তার উপর নির্ভরশীল।
তবে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন আলোচিত দুই ব্যক্তি সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও সাবেক জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহ আলম। এদিকে মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি নির্বাচন এলাকার মধ্যে যেকোনো একটিতে তিনি নির্ধারিত কোন আসনের কথা উল্লেখ করননি তা হলে নারায়ণগঞ্জ ৪-আসনে শাহ আলমের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। এই আসনটি বিএনপির রাজনীতিতে স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ ও ক্লিন ইমেজ থাকায় আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহ আলম বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবে বলে আশা করছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বাসিন্দারা।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন