
ফতুল্লার নয়ামাটি এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় ৪ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- মো. কালা চাঁন, আব্দুস সালাম, মনির হোসেন (মনু) ও আলী হোসেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. কালা চাঁন শনিবার বাদি হয়ে দুই জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০/১২জনের নাম উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলো- ফতুল্লার নয়ামাটি কুতুবপুর এলাকার মৃত জিন্নত আলির ছেলে গুলাজার হোসেন ও পূর্ব লামাপাড়া রুপসী গার্মেন্টস এলাকার মো. কালু মিয়া। অভিযোগে বাদি উল্লেখ করেন অভিযুক্তরা আওয়ামী লীগ পরিপন্থী, ভূমিদস্যু ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ভুক্তভোগী আহত মো. কালাচানের সাথে অভিযুক্তদের পূর্ব বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ১০টার দিকে অভিযুক্তরা নয়ামাটি ব্রিজের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তার মো. কালা চাঁন ও তার সাথে থাকা আব্দুস সালাম, মনির হোসেন (মনু) ও আলী হোসেনকে পিটিয়ে মারধর করে গুরুতর আহত করে।
এসময় অভিযুক্তরা রাজনৈতিক ভয় ভীতি প্রদর্শণসহ হুমকি প্রদান করে আইনশৃংখলাবাহিনীর লোকজনকে দিয়ে তাদের হয়রানী করবে, বাড়িতে ঘুমাতে দিবেনা, জেলের ভাত খাইয়ে ছাড়বে ।
একপর্যায়ে তাদের ডাক চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে সন্ত্রাসীরা এ ঘটনায় থানা পুলিশ করলে খুন করে লাশ গুম করে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
অভিযোগে ভুক্তভোগী আহত মো. কালাচান আরও উল্লেখ করেন এ ঘটনার পর থেকে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এছাড়াও অভিযুক্ত সন্ত্রাসীরা ভবিষ্যতের বড় ধরনের ক্ষতি সাধান করতে পারেন বলেও তিনি আশংকা করছেন। গুলজার একজন ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি। সে আওয়ামী সরকারের আমলে এলাকার সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে। তার অত্যাচার সহতে না পেরে তাকে এলাকাবাসি একবার গণ পুটনী দেয়। তার অত্যাচারে এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্ট। তাকে কেউ কিছু বলতে গেলে সে আইনশৃংখলাবাহিনীর লোকজনকে দিয়ে জেল খাটাবে বলে হুমকি দেয়।
এ অভিযোগের বিষয়ে গুলজার হোসেন বলেন, ভাই আমি এখন ঢাকায় আছি, ঢাকা থেকে এসে আপনার সাথে কথা বলবো এখন রাখি বলে ফোনটি কেটে দেন।