সোমবার, ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ সোমবার | ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বলাৎকারের অভিযোগে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের আটক করে ৯৯৯ ফোন করে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ

বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪ | ৭:৪৮ অপরাহ্ণ

বলাৎকারের অভিযোগে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের আটক করে ৯৯৯ ফোন করে মিথ্যা  চাঁদাবাজির অভিযোগ

এইচ,এম,রহমাতুল্লাহ

রাজধানীর রায়েরবাগে আব্দুল মতিন পিতাঃ মৃত আব্দুল হাকিম
প্রতিবন্ধী ল্যাংড়া মতিন নামেই সবাই চিনে থাকে।
এই মানুষটা যুবক শ্রেনীর পোলাপানকে টার্গেট করে বলাৎকার করে।

টাকা পয়সাঁ জায়গা-জমির কোন অভাব নাই, অথচ স্ত্রী সন্তান থাকার পরেও এই ল্যাংড়া মতিনের রুচিবোধ খুবই জগন্য, সে টাকা দিয়ে বেকার ছেলেদেরকে টার্গেট করে বলাৎকারের প্রস্তাব দেয় এবং মাদক সহ বিভিন্ন অবৈধ কাজে লিপ্ত করায়।

রাজি না হলে নানানভাবে হয়রানী করে থাকে, তার প্রমাণ টাকায় কিনা সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম (খোকা)

তার এসব নিকৃষ্ট কর্মকাণ্ডের পিছনে হাতিয়ার হয়ে কাজ করেন সাংবাদিক পরিচয়ধারী শহিদুল ইসলাম খোকা।

তথ্য নিয়ে জানা যায়, শহিদুল ইসলাম খোকা দীর্ঘদিন যাবৎ ল্যাংড়া মতিনের হাতিয়ার হয়ে কাজ করে আসছে ল্যাংড়া মতিনের বহু টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে গাড়ি বাড়ির মালিক হয়েছেন।

এক তথ্যে উঠে আসে, ল্যাংড়া মতিনের ছেলে সোহান মিয়া ও নীলা মিলে বাবার ১ কোটি টাকা চুরি করে নেয়, চুরিকৃত টাকার একতৃতীয়াংশ খোকা নিজের পকেটে ঢুকিয়ে ল্যাংড়া মতিনকে বুঝ দেয়।

মতিনের ঘর থেকে টাকা চুরির বিষয়ে সাংবাদিকদেরকে তথ্য দেওয়ার কারণে রিক্সা চালক মফিজুল ইসলামকে গলা টিপে মেরে ফেলার উপক্রম।

সাংবাদিক পরিচয়ধারী (খোকা) বাংলাদেশের আলোচিত সেভেন মার্ডারের প্রধান সাক্ষী দাবী করেন।
এবং সাতজন সাংবাদিককে মামলা দিয়ে জেল খাটিয়ে শিক্ষা দেওয়ার দাবী করেন।

সন্ত্রাসী রাকিব ভুক্তভোগী সৌরভের খালাত ভাই হয়, ল্যাংড়া মতিনের একমাত্র মেয়ে বিবাহ করে বর্তমানে মতিনের সহায় সম্পত্তি ভোগ দখল করছেন।

এই মতিনের পৈত্রিক সম্পত্তির উপর নজর পড়ে কথিত সাংবাদিক খোকার, ছলে বলে কলে কৌশলে বিভিন্ন নাটক সাজিয়ে টাকা পয়সা হাতিয়ে জুরাইন কমিশনার রোডে বাড়ি নির্মাণের প্রমাণ পাওয়া যায়।

এসব কথা বলার উদ্দেশ্য ছিলো তদন্তে যাওয়া সাংবাদিকদের প্রকাশ্যে মেরে ফেলার হুমকি।

প্রধান সাক্ষীর অবস্থান কোথায় থাকে বলা বাহুল্য, তবে তার নিজ মুখে স্বীকারোক্তির ভিডিও ফুটেজ ইতিমধ্যে গণমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

কথিত খোকা বহু সাংবাদিকদের হয়রানী করার অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ কল-কারখানায় সাংবাদিকরা তথ্যের জন্য গেলে তাদেরকে ৯৯৯ ফোন দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে হয়রানী করেন।

একসময় সে সেক্সের ট্যাবলেট বিক্রি করতেন গুলিস্তানের মোড়ে, বর্তমানে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রশাসনের লোককে প্রভাবিত করে এবং সাংবাদিক মহলে কলংকিত অধ্যায় রচণা করছেন।

ভুক্তভোগী সৌরভ জানায়, আমার বাবা মা আমাকে সাড়ে পাচঁ লক্ষ টাকা খরচ করে দুবাই পাঠিয়েছিলো, কাজের সুবিধা না হওয়ার বিষয়টি ল্যাংড়া মতিনকে মুটোফোনে কথা বলার সময় জানানো হয়। ল্যাংড়া মতিন আমাকে বলেন, তুমি আমাকে না জানিয়ে বিদেশ চলে গেলে কেনো, আমি তোমাকে বিমানের টিকিট কেটে দিচ্ছি তারাতারি আমার কাছে চলে আসো আমি তোমাকে প্রতিমাসে ৪০ হাজার টাকা বেতন দিবো, তবে শর্ত হলো তোমার ফ্যামিলীর কাউকে জানানো যাবে না।

যেই কথা সেই কাজ বিমানের টিকেট পেয়ে চলে আসেন তার বাসায়, ২ মাস ল্যাংড়া মতিন সৌরভের পরিবার থেকে লুকিয়ে রাখেন, এবং সমকামিতা করেন।
সৌরভ বলেন, বিভিন্ন নেশাদ্রব্য খাবারের সাথে মিশিয়ে খাইয়ে তারপর মেলামেশা করত।

মস্তিস্ক কিছুটা সুস্থ হলে অপকর্মের ভিডিও চিত্র করতে গেলে মোবাইল ফোন ভেঙ্গে ফেলে এবং কোনরকম দৌড়ে প্রানপনে বেচে আসেন।

বিষয়টি কথিত সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম খোকাকে পারিবারিকভাবে জানানো হয়।
(খোকা) ভুক্তভোগী পরিবারকে বিদেশ ফেরতের ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করে দিবেন বলিয়া আশ্বস্থ করেন এবং শর্তজুড়ে দেন যে ৫ লক্ষ টাকার আড়াই লক্ষ টাকা খোকাকে দিতে হবে আর তার গোপনাঙ্গ চুষে দিতে হবে। এইরকমের কথায় আরও ভেঙ্গে পড়েন ভুক্তভোগী সৌরভের পরিবার।

শহিদুল্লাহ শহিদের পুত্রের সাথে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিবৃতি দেন সাংবাদিক মহলের কাছে।
সাংবাদিকরা তথ্য প্রমান সহ থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেয় এবং অভিযোগ করেন।

যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসানের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন সাংবাদিকরা
অতপর সম্পুর্ন তদন্ত করে ঘটনা উদঘাটনের দ্বায়িত্ব দেন সাব ইনস্পেক্টর সাইফুল ইসলামকে।

কথিত খোকা সাংবাদিকদের প্রভাবিত করেন এবং তার ডেরায় ঢেকে নেন, রুমের ভিতর আটক করে পিস্তল দিয়ে অস্ত্র মামলা দেওয়ার হুমকি দেন এবং হাতাহাতি করেন।
সাংবাদিকদের আটক করে ৯৯৯ ফোন করে চাঁদাবাজীর অভিযোগ করেন।
থানা পুলিশ ঘটনার বাস্তবতা পুর্ব থেকে জানেন বিধায় সাংবাদিকের বিদায় করে দেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকাশক সম্পাদক দৈনিক রুপালীদেশ আব্দুল মালেক মনি বিষয়টি জানার উদ্দেশ্যে কথিত সাংবাদিকের সাথে মুটোফোনে কথা বলতে চাইলে বাবা মা বোনকে গালিগালাজ ও মেরে টুকরো টুকরো করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো সাংবাদিক মহলে হৈচৈ শুরু হয়েছে।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন