সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী বিহারী কলোনীতে মামলাবাজ শাবনুর ও তার পরিবারে অত্যাচারে দিশেহারা ফয়সালের পরিবার। একের পর এক মিথ্যে মামলায় জর্জরিত হয়ে পরিবারটি প্রায় সর্বশান্ত হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। নিজ স্বামীসহ পরিবারে বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করে ঘায়েল করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অবিরত।
জানা যায়, গত ৮ বছর আগে প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে আদমজী বিহারী কলোনী এলাকার আসলাম মিয়ার ছেলে ফয়সালকে বিয়ে করে একই কলোনীর কামাল হোসেনের মেয়ে মামলাবাজ শাবনুর। বিয়ের পর থেকে ফয়সালকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন শাবনুর। কিছুদিন যেতে না যেতেই সংসারে কলহ নেমে আসে তাদের। ২০১৯ সালে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবীর মিথ্যে অভিযোগ সাজিয়ে স্বামী ফয়সাল, শ^শুর আসলাম মিয়া ও শ^াশুড়ী নুরজাহান বেগমকে আসামী করে নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ আমলী আদালতের ‘ক’ অঞ্চলে একটি মামলা দায়ের করে শাবনুর। সিআর মামলা নাং-৭৭৬/১৯ইং। ২০২০ সালে আবারো দুই লাখ টাকা যৌতুক এবং দাবীকৃত টাকা না দেয়ায় নির্যাতনের অভিযোগ এনে নারায়ণগঞ্জ আদালতের বিজ্ঞ নারী ও শিশু বিশেষ ট্রাইব্যুনালে স্বামী, শ^শুর ও শ^াশুড়ীকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন সে। পিটিশন মামলা নং-৫০০/২০ইং। ২০২২ সালে আবারো মারামারির অভিযোগ এনে নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ আমলী আদালতের ‘ক’ অঞ্চলে স্বামী, শ^শুড় ও শ^াশুড়ীসহ ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে শাবনুর। সিআর মামলা নং-৭৮/২২ইং। এরপরই শাবনুর-ফয়সালের সাথে বনি-বনা না হওয়ায় ওই বছরের ১০ এপ্রিল ইভয়ের ছাড়া-ছাড়ি হয়ে যায়। দুই মাস যেতে না যেতেই মামলাবাজ শাবনুর পুনরায় ভয়-ভীতি দেখিয়ে ফয়সালকে বিয়ে করে। ২০২৪ সালে এসে আবারো পুরনো রূপে ফিরে যায় মামলাবাজ শাবনুর। চলতি মাসের ১০ তারিখ নারায়ণগঞ্জ আদালতের বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন এই শাবনুর। পিটিশন মামলা নং-৫৬৪/২৪ইং। প্রত্যেকটি মামলার স্বাক্ষী একই ব্যক্তিরা। এসব মামলায় ফয়সালের পরিবার আজ দিশেহারা।
ভুক্তভোগী ফয়সালের বাবা আসলাম মিয়া জানান, আমার ছেলে ফয়সাল প্রেম করে শাবনুরকে বিয়ে করে। আমরা তাদেরকে আমাদের সংসারে উঠাই নাই। তারা ভাড়া বাসা নিয়ে সংসার শুরু করে। দেড় দুই বছর ভালই সংসার করে কিন্তু তারপর থেকে নেমে আসে সংসারে অশান্তি। ফয়সালের বউ শাবনুর একটার পর একটা মামলা দিতে থাকে। এইসব বিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা অথচ আমাদের বিরুদ্ধে এসব মামলায় আসামী করেছে। প্রতিহিংসা মূলক এসব মামলায় আমাদেরকে জড়ানোর কারণে আদালতে যেতে যেতে আমরা দিশেহারা। এলাকায় আমাদের মান-সম্মান সবই শেষ। আমরা এই অত্যাচারী নারী রোষানল থেকে প্রতিকার চাই।