বিশেষ প্রতিনিধি:নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় গোপনে এক নারীর গোসলের ভিডিও দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে পরবর্তীতে সেই নারীকে তার গোসলের ভিডিও দেখিয়ে কু-প্রস্তাব দেয়, এবং তাকে ব্ল্যাক মেইল করে তার নিকট থেকে বিভিন্ন সময় নগদ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রায়হান মল্লিক দিপুর বিরুদ্ধে। রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২ টার সময় পাগলা নয়ামাটি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় পাগলা নয়ামাটি এলাকার খোকন মল্লিকের ছেলে রায়হান মল্লিক দিপু (২৬), হামিদা বানু (৪৬), অপু (২৮), কে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তার স্বামী হীরা ভূঁইয়া।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উল্লেখিত তারিখ রাত ২ টায় হীরা ভূঁইয়ার দিপুসহ আজ্ঞাত ৪/৫ জন ব্যক্তি অনধিকার ভাবে বাড়িতে প্রবেশ করে তার স্ত্রী বেলীকে উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও তার পুত্র সৌরভ (১৩) কে মারধর করিতে আসে। এমতাবস্থায় হীরা ভূঁইয়া বিবাদীদের বাধা প্রদান করিলে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকেও মারধর করে। একপর্যায়ে বিবাদীগন তাকেও হত্যা করার উদ্দেশ্যে হীরার গলা চেপে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। পরে হীরা ও তার স্ত্রীর ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীগন তার স্ত্রী ও তার পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি সাধনের হুমকি দিয়ে চলে যায়। বিবাদীগণের এহেনকার্যকলাপে ফলে ও নিরাপত্তার স্বার্থে স্ত্রীকে বাসায় রাখিয়া ফতুল্লা মডেল থানায় বিষয়টি অবহিত করার জন্য আসলে ভোর ৪ ঘটিকার সময় পুনরায় বিবাদীগন বাসায় তার স্ত্রীকে একা পেয়ে জোরপূর্বক বাসা হইতে নিয়া যায়। তার ছেলে বাধা প্রদান করিলে বিবাদীগন তার শিশু সন্তানকেও মারধর করে।
এবং তার ছেলেকে ঘরে রাখিয়া বাহির হইতে দরজার ছিটকিনি লাগাইয়া তার স্ত্রীকে নিয়া চলে যায় দিপু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। অতঃপর হীরা ভূঁইয়া তার বাসায় গেলে তার ছেলের কাছে জানতে পারে যে তার স্ত্রীকে দিপু ও তার লোকজন উঠিয়ে নিয়ে গেছে। উক্ত বিবাদীগন তাকে অদ্যাবধি হুমকি ধামকি অব্যাহত রাখিয়াছে।
এবিষয়ে হীরা ভূঁইয়ার স্ত্রী বেলী আক্তার বলেন, আমার একটি গোসলের ভিডিও গোপনে ধারণ করে প্রতিনিয়ত দিপু আমাকে ব্ল্যাক মেইল করে আসছে। আমাকে দিপু এই ভিডিও দেখিয়ে বলতো তার কু-প্রস্তাবে যদি রাজি না হই তাহলে আমার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ ইন্টারনেটে ছেড়ে দিবে। তার কথা শুনে আমি তাকে বিভিন্ন সময়ে প্রায় দেড় লাখ টাকা প্রদান করি যাতে সে এই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে না দেয়। তারপর আমি তার নির্যাতন ও অশান্তি আর মেনে নিতে না পেরে আমার স্বামী হীরা ভূঁইয়াকে জানায়। তারপর থেকেই শুরু হয় তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। আমার পূর্বের শত্রুদের সাথে হাত মিলিয়ে দিপু আমার উপর মিথ্যা মামলা দেওয়া শুরু করে।
এখন আমি নিঃস্ব। আমার মাথার চুল গুলো কেটে দেয় এই দিপু। আমি তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। তার কারণ দিপুর পিছনে নাকি অনেক বড় ধরনের ব্যক্তিদের হাত রয়েছে। এই দিপুর জন্য আজ আমার পরিবার নিষ্য হয়েগেছে। এই দিপুর বিচার আমি কোথায় গেলে পাবো আমি জানি না।