
বিগত ১৫ বছর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি মতিউর রহমান মতি এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছিল। তার নিয়ন্ত্রণে ছিল এক বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী।
সন্ত্রাসী বাহিনীর একেক এলাকায় কয়েকটি একেক গ্রুপে বিভক্ত ছিল। প্রতিটি গ্রুপে আবার একজন করে লীডার ছিল। গোদনাইল বার্মাশীল এলকায় মতির সন্ত্রাসী গ্রুপের লীডার থানা যুব লীগের ক্যাডার সাব্বির আহমেদ।
তাকে ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়েশনের গোদনাইল মেঘনা শাখার সভাপতি আশরাফ উদ্দিন,শামীম ওসমানের ঘনিষ্ট সহচর আনোয়ার হোসেন মেহেদী, সাইজদ্দিন মাদবরের ছেলে চোরাই তেল কারবারী মাসুদ পারভেজসহ আরো কিছু প্রভাশালী প্রশ্রয় দিত।
ওই প্রভাশালীরা মতির সাথে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার টেন্ডারবাজি, শীতলক্ষ্যা নদীতে বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ, মেঘনা ও পদ্মা তেলের ডিপো নিয়ন্ত্রণ, আদমজী জুট মিলের ইপিজেড নিয়ন্ত্রণ করত। গত ৬ অক্টোবর সাব্বির বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ছাত্র হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হলেও অধরা রয়েছে অন্যরা।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, প্রকাশ্যে তারা বিচরণ করলেও পুলিশের গ্রেপ্তারে অভিযানে তাৎক্ষনিক তৎপরতা না থাকায় এ সুযোগে তারা সবাই সাময়িক গাঁ ঢাকা দিয়েছে। বিএনপি নেতাকমর্ীদের সাথে লিয়াজো করে তারা আবার ফিরবে। এদের মধ্যে আবার অনেককেই দেখা গেছেও প্রকাশ্যে।
একটি সূত্র জানায়, মতির গোদনাইল এলাকায় টর্চার সেল ও অবৈধ দেশী বিদেশী অস্ত্রের ভান্ডারের মজুদ আছে। এখন ওই টর্চার সেল ও অস্ত্রভান্ডারের গোপন তথ্য অকিল ভুইয়ার ভাতিজা আলআমিন ভুইয়া, মতির ভাইগ্না ইয়াকুব আলীর ছেলে মাসুদ, বার্মা ইষ্টার্ন বাগপাড়া রোড জামে মসজিদের পাশে বাবু ও ভুইটা ফারুকের নিয়ন্ত্রণে । যৌথবাহিনীর অভিযানে বেড়িয়ে আসতে পারে মতি বাহিনীর দেশী বিদেশী সকল অস্ত্র।