শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ শনিবার | ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অপরাধীদের সাথে আতাতের অভিযোগ ফতুল্লার ওসি‘র বিরুদ্ধে

মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারি ২০২১ | ৬:৩৭ পূর্বাহ্ণ

অপরাধীদের সাথে আতাতের অভিযোগ ফতুল্লার ওসি‘র বিরুদ্ধে

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ইসলাম গ্রুপের কর্ণধার ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম।

গত রোববার (১০ জানুয়ারি) ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে অভিযোগটি জমা পড়ে। অপরাধীদের সাথে আঁতাত করে মিথ্যা মামলা নিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ তুলেছেন ওই ব্যবসায়ী।

অভিযোগে ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম উল্লেখ করেন, ‘বেশ কিছুদিন যাবৎ কিছু চাঁদাবাজ, ঠকবাজ, বিশ্বাসঘাতক ও অসাধু ব্যবসায়ী আমার বিরুদ্ধে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। আমার জিডির বিপরীতে আমাকে হেয় করার জন্য উল্টো মামলা নিয়েছেন থানার ওসি আসলাম হোসেন। মামলার অভিযোগে যেই চেকের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেই চেকের বিষয়ে মামলারও এক সপ্তাহ পূর্বে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল।’

‘আমরা প্রশাসনের কাছে বিচার চাইতে গিয়ে উল্টো হয়রানির শিকার হচ্ছি।’ এমন অভিযোগ করে ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি হাবিবুর রহমানের কাছে প্রতিকার দাবি করেন মনিরুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ ডিসেম্বর ফতুল্লা মডেল থানায় মারধরের অভিযোগে মামলা করেছিলেন ইসলাম গ্রুপের কর্ণধার ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলামের বাড়ির দারোয়ান আবু তাহের। এরপর ২৯ ডিসেম্বর একই থানায় চেক ডিজঅনারের বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন মনিরুল ইসলামের মালিকানাধীন ইসলাম গ্রুপ কোম্পানির ম্যানেজার (এডমিন) শফিকুল ইসলাম। প্রথম মামলা ও পরের জিডিতে বিবাদী করা হয়েছিল শহরের টানবাজারের এইচ এম এন্টারপ্রাইজের মালিক মেহেদী হাসান ও সুজন আহাম্মেদ মহসিনকে। এদিকে বিবাদীদের পিতা শফিউদ্দিন গত ৪ জানুয়ারি ফতুল্লা থানাতেই তার দুই ছেলেকে আটকে রেখে চাঁদা আদায় করার কথা উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে গত ২৯ ডিসেম্বর করা জিডিতে উল্লেখ সেই চেকেরই বরাত দেওয়া হয়। ছয়দিন আগে করা জিডি থাকা সত্ত্বেও একই চেকের মূলে মামলাও নেয় পুলিশ। এ নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে ইসলাম গ্রুপের কর্ণধার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে চক্রটি। এমন বিষয় আঁচ করতে পেরে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার শরণাপন্ন হই। উনি বিষয়গুলো বিস্তারিত শুনে নোট করে রাখেন। আমাকে আশ্বাস দেন কোনো জিডি কিংবা অভিযোগ করা লাগবে না। এখন দেখি ওসি তাদের সাথে মিলে আর্থিক সুবিধা নিয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা গ্রহন করে হয়রানি করছে ।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন