বন্দর প্রতিনিধি: বন্দরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভাড়াটিয়া এক বিধবা নারী (৩৫)কে একাধিক ধর্ষণে গ্রাম্য সালিশে ধর্ষক খোকা(৩০)কে ৬০ হাজার টাকা রফাদফা করার অভিযোগ উঠেছে নারী কাউন্সিলর শিউলি নওশাদের বিরুদ্ধে। গত ৫ অক্টোবর সোমবার রাতে বন্দর থানার ২০ নং ওয়ার্ডের দড়িসোনাকান্দা এলাকায় কাউন্সিলরের নিজ বাসভবনে এক বিচার শালিসী বৈঠকে এ রায় প্রদান করে। জরিমানা টাকা এক মাসের মধ্যে পরিশোধের সময় নির্ধারণ করে ধর্ষিতার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রাখেন উপস্থিত মাতববরা। এলাকাবাসী জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন বন্দরের দড়িসোনাকান্দা এলাকার মৃত আজিজুল হকের ভাড়াটিয়া ৩ সন্তানের জননী বিধবা নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করে বাড়িওয়ালার ছেলে খোকা মিয়া। গত রোববার রাতে বিধবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে খোকা। ওই বিধবা নারী রাতেই ঘটনাটি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানান। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করতে নাসিক ১৯, ২০ ও ২১ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শিউলি নওশাদের সরণাপন্য হন ধর্ষক খোকা মিয়ার মা। গত সোমবার রাতে নারী কাউন্সিলর শিউলি নওশাদের নিজ বাস ভবনে এক সালিশ বিচারের আয়োজন করা হয়। সালিশ বিচারে কাউন্সিলর শিউলি নওশাদ ধর্ষক খোকাকে ৬০ হাজার জরিমানা ধার্য করে রায় ঘোষনা করেন। ধর্ষিতা জানান, এই বাড়িতে ভাড়া আসার পর থেকেই বাড়িওলার ছেলে খোকা আমাকে বিরক্ত করতো।
এক পর্যায়ে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীক সম্পর্কে গড়ে তুলে। বিয়ে নিয়ে তালবাহানা করায় শারীক সম্পর্ক বন্ধ থাকে। গত রোববার রাতে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে খোকা। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে জানানো হয়। সোমবার রাতে কাউন্সিলর শিউলি আপার বাড়িতে বসে বিচার সালিশে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে। এক মাস পর টাকা দিলেও আমার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয় মাতববরা। কাউন্সিলর শিউলি নওশাদ জানান, মোবাইল আপনার সঙ্গে এসব কথা বলা সম্ভব না। এশার নামাজের পর আমার অফিসে আসবেন চায়ের দাওত রইল। সাক্ষাতে কথা বলবো। বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. ফখরুদ্দীন ভূঁইয়া জানান, বিধবা ধর্ষণের ঘটনা আমার জানা নাই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।