ফতুল্লা প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের হকারদের সন্ধ্যার পর বসতে দেয়ার অনুমতি চেয়ে আবারাে মাঠে নেমেছে । মঙ্গলবার ( ২ মার্চ ) বিকালে পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ কার উচ্ছেদ চলবে না ‘ এই স্লোগানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কের শতাধিক হকার ।
জেলা হকার্স সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় । চাষাঢ়া থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি নগরীর দুই নম্বর রেলগেইট প্রদক্ষিণ করে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয় । মিছিলে নেতৃত্ব দেন মহানগর হকার্সলীগের সভাপতি রহিম মুন্সী , জেলা হকার্স সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক আসাদুল ইসলাম আসাদ ।
মিছিল শেষে সমাবেশে রহিম মুন্সী বলেন , উচ্ছেদ যদি করতেই হয় আগে পুনর্বাসন করুন , পরে উচ্ছেদ করেন । রাজধানী ঢাকাতে হকাররা রাস্তায় বসে কেনা বেচা করতে পারে । তাদের কোনাে সমস্যা নাই । নারায়ণগঞ্জের অলিতে গলিতেও হকাররা ব্যবসা করছে । সেটাতেও সমস্যা নাই । কিন্তু দুই নম্বর রেলগেট থেকে চাষাঢ়া সােনালী ব্যাংকের এদিক পর্যন্তই শুধু অভিযান হয় । এর কারণ কি ? এইসব অভিযান বন্ধ করে আমাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুন ।
আমাদের পেটে লাথি দিয়ে আপনারা মােটেও ভালাে কাজ করছেন না । আপনারা আমাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেন।আমরাও রাস্তায় বসতে চাই না । আমাদের পুঁজি কম , ব্যবসাও ছােট , তাই পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে রাস্তায় ব্যবসা করি । প্রতিহিংসা বন্ধ করে অন্তত সন্ধ্যার পর আমাদের বসতে দেন ।
আসাদুল ইসলাম আসাদ বলেন , আমরা দীর্ঘদিন ধরে যে আন্দোলন করছি , বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি দিয়ে আসছি সেগুলাের কোনাে কিছুই পূরণ হয় নাই কোন অদৃশ্য শক্তির ইশারায় ? সারা নারায়ণগঞ্জের কোথাও হকার উচ্ছেদ করা হয় নাই।শুধুমাত্র চাষাঢ়ার এইদিকেই বার বার অভিযান চালানাে হয় । আপনারা এই শহরকে সিঙ্গাপুর , লন্ডন বানাতে চান , এতে আমরাও আনন্দিত । তবে এর আগে হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেন । যেখানে হকার্স মার্কেট আছে । সেখানে বহুতল ভবন করে আমাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুন ।
মেয়রকে বলতে চাই , আমরা ফুটপাতে বসলে তাে যাও পথচারীরা চলাচল করতে পারে কিন্তু আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার যে করা হয়েছে ফুটপাত দখল করে সেখানে তাে পথচারীরা চলাচল করতে পারে না । এ নিয়া তাে কারাে কোনাে মাথাব্যথা নাই । যদি আমরা ফুটপাতে বসতে না পারি তাহলে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমাদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি চলতে থাকবে ।