শনিবার, ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ শনিবার | ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সিদ্ধিরগঞ্জে ১নং ওয়ার্ডে সিআই খোলায় নেই বালুর মাঠ, তবুও বসবে নাসিকের পশুর হাট! ডিএনডি খাল পাড়ের বনায়ণ ধ্বংস ও জনদূর্ভোগের আশংকা

রবিবার, ০৯ জুন ২০২৪ | ১০:৩২ অপরাহ্ণ

সিদ্ধিরগঞ্জে ১নং ওয়ার্ডে সিআই খোলায় নেই বালুর মাঠ, তবুও বসবে নাসিকের পশুর হাট! ডিএনডি খাল পাড়ের বনায়ণ ধ্বংস ও জনদূর্ভোগের আশংকা

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ১নং ওয়ার্ডে সিআই খোলা এলাকায় এক সময় বালুর মাঠ থাকলেও ওই এলাকাটি বর্তমানে আবাসিক অঞ্চল হয়ে যাওয়ায় বালুর মাঠের অস্তিত্ব এখন বিলীন।

বর্তমানে কাগজে সিআইখোলা বালুর মাঠ থাকলেও বাস্তবে আর তা নেই। এরূপ অস্তিত্বহীন জায়গায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ হাটের ইজারা দেয়ার আহ্বান করলে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল।

অন্যদিকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।

মূলত যে স্থানটিকে সিআই খোলা বালুর মাঠ বলা হয়েছে এই জায়গার নাম বর্তমানে ইসলাম নগর। ইসলাম নগরের এই বালুর মাঠটি প্রজেক্ট করে সেখানকার ভুমি প্লট আকারে বিভিন্ন ব্যাক্তিদের কাছে বিক্রয় করা হয়েছে।

স্থানীয়দের মতে সিআইখোলা বালুর মাঠ নামে অস্তিত্বহীন এলাকায় খেলাধুলার জন্য কোনো মাঠ নেই সেখানে বিশাল পশুর হাটের আয়োজন জনদূর্ভোগে পরিণত হবে।

এছাড়া বিগত বছরের মতো নির্ধারিত স্থানের অস্তিত্ব না থাকায় নাসিক ১নং ওয়ার্ডের সিদ্ধিরগঞ্জ পুল কবরাস্থনের পর থেকে হিরাঝিল পর্যন্ত ডিএনডি খালের পাড়ের সৌন্দর্যবর্ধন অংশে পরিবেশ রক্ষায় বনায়ণ করা গাছ কর্তন করে অস্থায়ী পশুর হাট বসানো হবে। এতে পরিবেশ ভারষম্যহীন হয়ে পড়বে।

তাই সিআইখোলা বালুর মাঠ নামে হাটের ইজারা না দিয়ে নাসিক ১নং ওয়ার্ডে নাগারিক সুবিধা ও অধিকার নিশ্চিত করা হউক।

এছাড়াও এ হাটের কারণে লোকজনের চলাচলে বিঘ্ন ঘটবে এবং আবাসিক এলাকার ভিতরে হাট বিস্তৃত হলে পশুর বর্জে দূর্গন্ধে এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হবে। অন্যদিকে দিন শেষ হলেও গভীর রাত পর্যন্ত হাটের মাইকের উচ্চ শব্দে প্রচুর শব্দ দূষণ হবে। এতে নারী শিশু ও বায়োজৈষ্ঠদের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যাহত হবে।

স্থানীয়দের কাছে আবাসিক এলাকায় কিভাবে গরুর হাটের ইজারা দেয় নাসিক কর্তৃপক্ষ তা প্রশ্নবিদ্ধ। তারা বলছেন এলাকার শীর্ষ প্রভাবশালীরা নেপথ্যে থেকে এ হাটের সাথে জড়িত থাকায় কেউ এ হাটের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করার সাহস পাচ্ছেনা।

সরেজমিনে দেখা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জপুল থেকে হিরাঝিল পর্যন্ত ডিএনডি খালের পাশে বনায়ণ এলাকায় ইজারা প্রাপ্তির আগেই একটি হাটের ব্যাপক প্রস্ততি নিয়েছেন। সেখানে আলোকসজ্জা হতে বিভিন্ন প্রকার প্রস্ততি সম্পন্ন।

ডিএনডি খাল পাড়ের বনায়ণ প্রকল্পে গরু উঠা নামার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সিআইখোলায় কোনো বালুর মাঠ নেই তবুও আবাসিক এলাকায় পশুর হাট বসছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এটি দেখভাল করেন বাজার কর্মকর্তা জহিরুল আলম। আমি উনার কাছে বিষয়টি জেনে নেই।

পরে এ বিষয়ে কথা বলতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে বাজার কর্মকর্তা জহিরুল আলমের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

নাসিক ১নং ওয়ার্ডবাসী এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন