বিশেষ প্রতিনিধি: ২ লাখ টাকা যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় স্ত্রীকে মারধর করে শ্বশুর বাড়ি ফেলে রেখেছে যৌতুক লোভী একাধিক বিয়ের নায়ক সাদেক হোসেন । এ ব্যাপারে যৌতুক লোভী স্বামীর বিরুদ্ধে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সিআর মামলা দায়ের করেন রুবিনা আক্তার।
এদিকে মামলা তুলে নিতে নানান ধরনের হুমকি প্রদান করছে সাদেক ও তার পরিবার।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন সৈয়দপুর আল আমিন নগর এলাকার রুহুল আমিনের কন্যা রুবিনা আক্তার উল্লেখ করেন, পশ্চিম দেওভোগ পূর্ব নগর এলাকার মৃত নুরুল হকের পুত্র সাদেক হোসেনের সাথে গত ২০১৯ সালে ১৯ এপ্রিল ২ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় বর পক্ষকে যৌতুক বাবদ ব্যবসা করার জন্য নগদ ৩ লাখ টাকা, আড়াই ভরি স্বর্ন,ঘরের আসবাবপত্রের জন্য নগদ আরো ২ লাখ টাকা দেয়া হয়।
বিবাহিত জীবনে একটি কন্যা সন্তান হয়। বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আরো ৩ লাখ টাকা নেয় সাদেক। ব্যবসার কথা বলে আবারো দেড় লাখ টাকা যৌতুক দাবী করলে রুবিনা দিতে অস্বীকার করলে গত ১৮/৯/২০২০ ইং তারিখ রুবিনার বাবার বাড়িতেই সাদেক মারধর করে।
বাদীনি রুবিনা ও তার পরিবার কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারকে যৌতুক লোভী সাদেকের বিরুদ্ধে শালিশী বিচার চাইলে ছেলের পক্ষ হয়ে মেম্বার ২ লাখ টাকা দাবী করেন। এছাড়াও অন্যান্য জিনিস পত্র দাবী করেন।
অপর দিকে মামলা হতে রক্ষা পেতে সুচতুর ও যৌতুক লোভী সাদেক থানায় জিডি ও উকিল নোটিশ করেন বাদীনি রুবিনা আক্তারকে।
প্রতারক সাদেক গত ১৮/৪/২০১৯ ইং রুবিনার বিরুদ্ধে হুমকি ধামকি দেয়ার অভিযোগে ফতুল্লা থানায় জিডি নং ৬২৯ দায়ের করেন। মজার ব্যাপার হলো রুবিনার সাথে সাদেকের সাথে বিয়ে হয় ১৯/৪/২০১৯ ইং। অর্থাৎ বিয়ের একদিন আগে জিডি করে।
যৌতুক লোভী সাদেকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ খোকন মেম্বার মুঠোফোনে জানান, না ভাই এরকম কোন কথা বলিনি। আমরা উভয় পক্ষের কথা শুনে বিচারকরা রায় দেন। এটা ভিত্তিহীন কথা।