স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটিতে নারায়ণগঞ্জের তিনজন পদ পাওয়ায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।
শনিবার (২১শে নভেম্বর) বেলা ১১ঘটিকায় নগরীর আল-জয়নাল প্লাজার জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ইকবাল হোসেন তাপস এবং উদ্বোধক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা পার্টির উপদেষ্টা ও জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মোঃ জয়নাল আবেদীন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, জীবনকে বাজি রেখে মুক্তিযোদ্ধারা ৭১ সালে রণক্ষেত্রে গিয়েছিলেন। সারাদেশের মানুষ যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলো। করোনাকালীন সময়েও আমাদের যুদ্ধ করতে হয়েছে, নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার যুদ্ধ।
এছাড়াও তিনি বলেন, আমাদের বর্তমান প্রজন্ম যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি ও যুদ্ধের ভয়াবহতা উপলব্ধি করেনি তারা এই করোনার ভয়ে ঘর থেকে বের হয়নি। এখন যদি ৭১ এর যুদ্ধের সেদিনটি কল্পনা করি তাহলে ভেসে উঠে সামনে গুলি, পিছনে কামান তাক করা ও মাটিতে মাইন পাতা। চারিদিক থেকেই মৃত্যু যেন ওত পেতে আছে কিন্তু সেই সময়ে মুক্তিযোদ্ধারা মৃত্যুকে চোখ রাঙানি দিয়েই নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলেন। দেশ স্বাধীন করার জন্য তাদের অনেক অবদান রয়েছে।
উদ্বোধক জয়নাল আবেদীন বলেন, যুদ্ধের প্রায় ৫০ বছর হয়ে গেছে এর মাঝে অনেকবার মুক্তিযুদ্ধের সেই গৌরবগাঁথা ইতিহাসকে বিকৃত করার ব্যর্থ চেষ্টা চালানো হয়েছে। এদেশে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। আবার অনেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করার পরেও সেই তালিকায় তাদের নাম রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা কোন রাজনৈতিক সংগঠনের ছিলো না। আজ দেখছি কোন কোন দল মুক্তিযুদ্ধকে তাদের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলছে। এটি অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ কারো কোন ব্যক্তিগত সম্পদ হতে পারে না। কোন দলের সম্পদ হতে পারে না। সকল মুক্তিযোদ্ধাদের দল ও জাত একটিই।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটিতে নারায়ণগঞ্জের তিনজন পদ পাওয়ায় তাদের এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তারা হলেন, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা পার্টির উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন, সহ-সভাপতি আব্দুল মোতালিব ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম কাদির।
কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা পার্টির সহ-সভাপতি আব্দুল মোতালিবের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা পার্টির সভাপতি ইসহাক ভুইয়া, সহ-সভাপতি সফিউল আলম আরিফ, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম কাদির ও নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা জাতীয় পার্টি সদস্য সচিব কাজী দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।