বিশেষ প্রতিবেদক: জুয়ারী শাহজাহানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে প্রাণ নাশের হুমকী প্রদান করা হয়েছে। আজ বুধবার দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকায় ‘শহরে ফের জুয়ার আসর’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সেই সংবাদের প্রেক্ষিতে জুয়ারী শাহজাহান সংবাদচর্চার নিজস্ব প্রতিবেদক সাইফুল ইসলাম সুমনকে মুঠোফোনে হুমকি প্রদান করে। এ ঘটনায় নিজে বাদি হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন সাইফুল ইসলাম সুমন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৭ জুন দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় জুয়ারী শাহজাহানের বিরুদ্ধে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। শাহজাহান ওরফে ছোট শাহাজাহানের নেতৃত্বে চলা জুয়ার আসরের বিষয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করায় সাইফুল ইসলাম সুমনের পিতা মুসা মিয়াকে একা পেয়ে হুমকী প্রদান এবং সুমনকে মুঠোফোনের মাধ্যমে প্রাণ নাশের হুমকী প্রদান করে জুয়ারী শাহজাহান।
এ বিষয়ে সাইফুল সুমন বলেন, গণমাধ্যমে কর্মরত সকলেরই উচিৎ সত্য প্রকাশে সংগ্রাম করা। সেই ধারাবাহিকতায় আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি। শহরে অবৈধভাবে চলা জুয়ার আসরের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছি। এর আগেও আমি বেশ কয়েকবার এই জুয়ারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে অবহিত এবং পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেছি। গত বছর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ২৮ জুয়ারীকে গ্রেপ্তার করেছিলো র্যাব। ফের সেই জায়গাতে জুয়ার আসর বসানো হয়েছে। এই জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে মানুষের মাঝে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হচ্ছে। সামান্য বিষয় থেকে অনেক বড় ঝামেলার সৃষ্টি হচ্ছে। শুধু এই জুয়ার আসরই নয় বরং নারায়ণগঞ্জ শহরে যাতে কোন জুয়ার আসরই না থাকে সেজন্য আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
অন্যদিকে ছোট শাহাজাহান জানান, আমার পরিবার পরিজন আছে। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে সকলেই দেখে। কেনো আমার নামে সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে? আমি পূর্বে এসকল বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলাম তবে এখন নেই।
প্রসঙ্গত, ১৭ জুন দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকায় শহরে ফের জুয়ার আসর শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বসানো এবারের জুয়ার স্পটের মূলহোতা জুয়ারী ছোট শাহজাহান। শহরের বিভিন্ন কথিত নেতা ও কতিপয় পুলিশ সদস্যকে হাত করে পূর্বের জায়গাতেই ফের জুয়ার আসর বসিয়েছে সে ।
অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব দেয়া নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) শাফিউল আলম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আমি ইতিমধ্যেই দুইবার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়েছিলাম। কিন্তু শাহাজাহনকে খুঁজে পাইনি। শাহাজাহানের খোঁজ পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।