শনিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ শনিবার | ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home » Slider »

হেফাজতের ডাকা হরতালের ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকের উপর হামলা

সোমবার, ২৯ মার্চ ২০২১ | ১২:৩৭ অপরাহ্ণ

হেফাজতের ডাকা হরতালের ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকের উপর হামলা

স্টাফ রিপোর্টা নারায়ণগঞ্জ থেকেঃ- গতকাল রবিবার সকাল- সন্ধ্যা হেফাজতের ডাকা হরতালের সংবাদ সংগ্রহের কাজে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের অন্তত ২০ জন সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন। ছবি নিতে গেলে বা পরিচয়পত্র ঝুলিয়ে রাস্তা পারাপারের সময় একের পর এক হামলার শিকার হয়েছেন তারা। শিরাইরাইলের কাছাকাছি জায়গায় হামলার শিকার হন নিউএইজের সাংবাদিক মোক্তাদির রশিদ রোমিও। তার সঙ্গে ছিলেন আরটিভি অনলাইনের একজন সাংবাদিক। দুজন মহাসড়ক ধরে যাওয়ার পথে তাদের আটকায় কয়েকজন পিকেটার। পরিচয়পত্র দেখানোর পর তাদের ছাড়া হয়নি। ‘সঠিক নিউজ প্রচার হচ্ছে না’ দাবি করে রোমিও মাথায় বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। হেলমেট মাথায় থাকায় রোমিও খুব একটা আঘাত না পেলেও তার হেলমেটটি ভেঙে গেছে। রোমিও বলেন, ‘আমাকে আটকানোর পর তারা কোনো কথাই শুনছিল না। আইডি কার্ড দেখানোর পর তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। একজন আমার মাথায় আঘাত করে। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাই। এরপর তাদেরই দুজন আমাকে সড়িয়ে নিয়ে আসে।’ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বেসরকারি টেলিভিশন নিউজ টোয়েন্টিফোরের একটি গাড়ি সানারপাড় মোড়ের কাছে দাঁড়ানো ছিল। পিকেটাররা চালককের মারধর করে গাড়ির চাবি রেখে দেয়। এরপর গাড়িটি ভেঙে চুরমার করা হয়।এক পর্যায়ে পিকেটারদেরই একজন গাড়িটি চালিয়ে রাস্তায় মাঝখানে নিয়ে আসে জ্বালিয়ে দেয়ার জন্য। এ সময় নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় দুজন সাংবাদিক পিকেটারদের দিকে এগিয়ে যান। তাদের অনুরোধে গাড়িটি না জ্বালিয়ে চাবি ফিরিয়ে দেয় পিকেটাররা। সানারপাড় এলাকায় হেফাজতের কর্মীদের হাতে হ্যালো বাংলাদেশ অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক মোঃ মাহমুদুল হাসান সোহাগ বেধর মারা হয় তার অফিসিয়াল ক্যামেরা ও ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ভেঙ্গে ফেলা হয় এবং দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার চীফ ফটো সাংবাদিক মোঃ রাজিব হোসেন রাজু সহ দুইজন আহত হন। কিছুক্ষণ পর কয়েকজন সাংবাদিক বন্ধু এসে তাদেরকে হসপিটালে নিয়ে যান। সাইনবোর্ড এলাকায় ছবি তুলতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোরের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি বিল্লাল হোসাইন। তার মোবাইল ফোনটি কেড়ে নিয়ে যায় পিকেটাররা। এরপর ওই এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে সড়ে আসেন তিনি।গাড়িতে আগুনের ফুটেজ নেয়ার সময় মারধরের শিকার হয়েছেন জিটিভির ক্যামেরাপারসন মাসুদুর রহমান। মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছেন তিনি। মূল সড়ক ধরে সানারপাড় বাসস্ট্যান্ড থেকে মৌচাকের দিকে যাওয়ার পথে বেধড়ক মারধরের শিকার হয়েছে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক এম কে রায়হান ও বৈশাখী টেলিভিশনের আশিক মাহমুদ। ধাওয়া করে তাদের মারধর করে হরতাল সমর্থক একদল যুবক। ছিনিয়ে নেয় মোবাইল ফোন। আশিক মাহমুদ বলেন, “আমরা কোনো ছবি তুলছিলাম না, এমনকি ফোনও আমাদের হাতে ছিল না। পুলিশ পিকেটারদের হটিয়ে সামনে যাওয়ার পর আইমাদের পেয়ে ‘এই ধর সাংবাদিক, পিঠা, জন্মের মাইর দে’ এসব বলে আমাদের বেধড়ক লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করা হয়েছে। সারা শরীর জুড়ে মাইরের দাগ। আমরা সংবাদকর্মীরা আমাদের জীবন বাজি রেখে রাজপথে বিভিন্ন হরতাল-অবরোধ মিছিল-মিটিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ ছবি সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন জায়গার চিত্র গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করে থাকি আর তার কারণে যদি আমাদের সংবাদ কর্মীদের উপর এই ধরনের অন্যায় ভাবে নির্যাতিত হতে হয় তাহলে আমরা সংবাদকর্মীরা কিভাবে সংবাদ সংগ্রহ করবো তাই আমি বলবো সকলের উদ্দেশ্যে আপনারা আমাদের উপর আক্রমণ না করে আমাদেরকে সহযোগিতা করুন।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন