বিশেষ প্রতিনিধি : ফ্রিজিয়ান গরুর আড়ালে ব্রাহমা গরু আমদানি করছে একটি অসাধু চক্র। তথ্য মতে জানা যায়, ঈদকে সামনে রেখেই তারা ব্রাহমা গরু আমদানির তৎপরতায় রয়েছে।
দেশে গবাদিপশুর খামার ও এ শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে সারাদেশে শত শত খামারী গবাদী পশুর খামারে বিনিয়োগ করছে। রাজধানীর আশপাশেও গত ৫ বছরে শতাধিক খামার গড়ে উঠেছে। যেখানে গরু পালনের পাশাপাশি মাংস, দুধ বিক্রি ও দুধ দিয়ে তৈরী পন্য বিক্রি হচ্ছে। আর এতে নগরবাসীর চাহিদার মতো হাতের নাগালের কাছেই পাচ্ছেন সবকিছু।
জানা যায়, এসব খামারে দেশী গরুর পাশাপাশি বিদেশী নানা জাতের গরুর দেখা মেলে। সারা বছরই গরুর মাংসের জন্য খামারে গরুর চাহিদা থাকে।
এদিকে কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে এসব খামারীরা। তবে কিছু অসাধু খামারী আর প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের জন্য বিপাকে পড়তে হচ্ছে অধিকাংশ খামারীদের।
অধিদপ্তর ও খামারীদের বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বিদেশ থেকে আনা ৩০ টি গরু আটকে দিয়েছে প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের এক অসাধু কর্মকর্তা।
অধিদপ্তরের সূত্র মতে জানা যায়, এই গরুগুলো আমদানী নিষিদ্ধ ব্রামা জাতের গরু তাই দেশে প্রবেশের অনুমতি নেই।
জানা গেছে, গত ১ বছরে একই গরুর চালান ঢুকেছে আরও ৫ টি যেখানে ৫ চালানে মোট ১০০ টির বেশী গরু ঢুকেছে দেশে একই রুটে। খামারীরা অভিযোগ করেছেন কেবল তারা আমদানী করতে চাইলে নানা হয়রানির শিকার হতে হয়।
আমদানী করা প্রতিষ্ঠান ডেইরী সানের মালিক জিসানের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিটি গরু আমদানিতে ১ লাখ করে মোট ৩০ লাখ টাকা ঘুষ চেয়েছে এয়ারপোট কোয়ারিন্টিনের দায়িত্বে থাকা এই ওমর ফারুক। তবে তাকে টাকা না দিয়ে পরে হাইকোর্টের মাধ্যমে সেই গরু ছাড়িয়ে নিয়েছে খামারী।
তিনি বলেন, একই অবস্থা অন্য খামারীদের ক্ষেত্রেও। ঘুষ না দিলে আটকে যায় দেশে আশা বিদেশী গরু। সমস্যা যে শুধু এয়ারপোর্টে তা কিন্তু নয়। প্রানীসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল জব্বার সিকদারও। আমাদের হাতে আসা বেশ কয়েকটি কাগজ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় শুধু বিশেষ একটি খামারের হোলস্ট্রেন ফিজিয়ান গরু আমদানী পত্রে তার স্বাক্ষর রয়েছে যেগুলো এয়ারপোর্ট দিয়ে অনায়াসে দেশে প্রবেশ করেছে।আর তারা সবগরুই ব্রামা জাতের এনেছে। প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে একই জাতের এই ৩০ টি গরু কেনো আটকে দেয়া হলো?
জিসান বলেন, এসব বিষয়ে আমরা মহা পরিচালকের সাথে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেছি কিন্তু তিনি এসব বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।। মূলত হোলস্ট্রেন ফ্রিজিয়ন বলে ব্রামা জাতের গরু আসছে দেশে যেটা বছরের পর বছর ধরে চলছে।
প্রানীসম্পদ মন্ত্রনালয়ের এমন অনিয়মে ক্ষতিতে পড়া সাধারন খামারীর পরিত্রানে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এমন বিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরের ডিজি আব্দুল জব্বার শিকদারের ফোনে একাধিকবার কল করলে তিনি তা রিসিভ করেন নি এরপর তার সঙ্গে যোগাযোগ করা ও সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরের কোয়ারিন্টিন ওমর ফারুখের মুঠোফোন যোগাযোগের জন্য একাধিকবার কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।