
নিজস্ব প্রতিবেদক,
সিদ্ধিরগঞ্জে মটর মেকানিক শুভ হত্যার আসামীদের দ্রুত বিচার ও ফাঁসীর দাবিতে শোক র্যালী ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। গতকাল রোববার সকাল ১১’টায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে এ শোক র্যালী ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। শোক র্যালীটি কাঁচপুর ব্রীজের পশ্চিমপাড় থেকে শুরু করে শিমরাইল মোড় ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের সামনে গিয়ে মানবন্ধনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
নিহত শুভ’র ছোট ভাই শরিফুল আলম সৌরভের নেতৃত্বে শোক র্যালী ও মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শিমরাইল এলাকার মোঃ মামুন, মোঃ সাদ্দাম হোসেন, মোঃ ওয়াসিম, মনির হোসেন, মোঃ তুষার, মোঃ ফারুক, মোঃ আল-আমিন, এনামুল, আব্দুর রহিম খাঁন, আজিজুল ও জুম্মনসহ আরো অনেকে। নিহত শুভ’র ছোট ভাই শরিফুল আলম সৌরভ বলেন, আমার ভাই শুভকে যারা হত্যা করেছে আমি তাদের ফাঁসীর দাবি জানাচ্ছি।
আসামীরা অনেকে এখন জামিনে এসে আমাদেরকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। আসামীরা শিমরাইল এলাকার মাদক ব্যবসায়ী তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। আমরা তাদের ভয়ে দিন কাটাচ্ছি। তারা বলে বেরাচ্ছে মামলা তুলে না নিলে আমার নিহত বড় ভাই শুভর মত আমাকে মেরে ফেলবে। উল্লেখ্য গত ২’হাজার ২০’সালের এ দিনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার শিমরাইল উত্তরপাড়া এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে আনিছকে মাদকসহ পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
পরে জামিনে বের হয়ে আসে আনিছ। ফারুক আনিছকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে এমন সন্ধেহে আনিছ ও তার বোন জামাতা জনিসহ কয়েকজন শুভর বন্ধু ফারুককে মারধর করে। পরে ফারুক তার বন্ধুদের নিয়ে জিজ্ঞাসা করতে জনিদের বাড়িতে যায়। ওখানে তাদের মধ্যে প্রচ- বাকবিতন্ডা হয়। সন্ধ্যায় গ্যারেজ থেকে কাজ শেষ করে শিমরাইল টাইগার ফ্যাক্টরির সামনের রাস্তার দিয়ে বাসায় যাচ্ছিলেন শুভ। পথিমধ্যে রাস্তায় দেখা হয় ইয়াবা ব্যবসায়ী জনি ও আনিছসহ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী তার বন্ধু ফারুককে মারধর করে।
এসময় শুভ এগিয়ে গেলে তারা শুভকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। তাদের ডাক চিৎকারে এলাকার কয়েকজন যুবক শুভ ও ফারুককে উদ্ধার করতে গেলে মাদক ব্যবসায়ী জনি, আনিছ, সজিব, শাকিল, হৃদয় (২), অনিক, হাসু, নজরুল, বিথি, শাহানাজ, শিউলী ও নাজমাসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪’জন তাদের উপর হামলা চালায়। মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় শুভ, ফারুক, জুম্মন, রফিক, মোজাম্মেল ও হৃদয় (১) আহত হয়। এদের মধ্যে শুভ ও জুম্মনকে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় সাজেদা হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাদের ২’জনের অবস্থা আশংকাজনক দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। হাসপাতালে গেলে ডাক্তার শুভকে মৃত ঘোষনা করে।