![দৈনিক নারায়ণগঞ্জের ডাক](https://dailynarayanganjerdak.com/media/2021/05/dailynarayanganjerdak-Footer-Logo-2021.png)
ময়মনসিংহের সিনিয়র সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিককে নির্যাতনকারী তৎকালীন জেলা গোয়েন্দা সংস্থা ডিবি পুলিশের এসআই আক্রাম হোসেনের শাস্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । আজ ৮ জানুয়ারি শুক্রবার বাংলাদেশ সন্মিলিত সাংবাদিক সোসাইটি বিইউজেএস ও বাংলাদেশ অনলাইন সাংবাদিক কল্যাণ ইউনিয়নের উদ্যোগে কয়েকদিন ব্যাপী প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনের প্রাথমিক কর্মসূচী পালন করা হয় ।এতে সাংবাদিকরা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন । প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর দৈনিক ময়মনসিংহ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক, দৈনিক আমাদের কন্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ মানবতা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রফিককে গ্রেপ্তার করে এসআই আক্রাম হোসেন । গ্রেপ্তার করার পর থেকেই খায়রুল আলম রফিকের চোখ বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয় । নির্যাতনের ছবি তুলে প্রতিপক্ষের হাতেও তুলে দেন এই পুলিশ কর্মকর্তা । এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় । এরপর রফিককে আসামি করে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় মামলা । এসআই আক্রাম হোসেন অমানুষিক নির্যাতন করে সাংবাদিক রফিককে অন্ধ ও পঙ্গু করে দিয়েছে । রফিকের দুচোখ ও পেছন থেকে দুই হাত বেঁধে ডিবি কার্যালয়ের ফ্লোরে ফেলে আলমারীর সাথে হেন্ডকাপ পড়িয়ে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হাত পা ও কোমড়ে বেধড়ক পিটুনি, পায়ের তালুতে , গরম পানি ঢুকিয়ে দেওয়া, কলম দিয়ে আঙুলের নখে চাপ দেওয়া ও নখ উপড়ে ফেলা, ফ্লোরে চিৎ করে শুইয়ে হাত-পা চেপে ধরে নাকে-মুখে লাথি এবং মুখের ভেতরে গামছা ঢুকিয়ে নির্যাতন করে আক্রাম হোসেন। এতে সাংবাদিকের রফিকের যৌনশক্তি হারিয়ে যাওয়ার মত অবস্থা । শরীরের বিভিন্নস্থানে ইনফেকশন ধরা পড়েছে। চোখ নষ্ট হয়ে গেছে প্রায় চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ও চোখ,কান খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারবেন কিনা তা বলা যাচ্ছে না। তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন । প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ সন্মিলিত সাংবাদিক সোসাইটির বিইজেএস এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এম এ মমিন আনসারী । বক্তব্য রাখেন বিইউজেএস এর মহাসচিব বিএম আশিক হাসান, ভাইস চেয়ারম্যান মো: আবুল কালাম মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবি আ্যাডভোকেট ওয়াহেদুনবী বিপ্লব, দপ্তর সম্পাদক তারেক সালমান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হোসনে আরা হীরা, নির্বাহী সদস্য শফিকুল ইসলাম চৌধুরি, দৈনিক অন্যদিগন্তের সিনিয়র রিপোর্টার হাবিব মোল্লা, দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার রিপোর্টার আনিসুর রহমান, বসকোর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম তপু, বসকোর সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার, সমাজ সেবক মোহাম্মদ আবদুর রউফ, মোঃ নুরুজ্জামান রনি,বাংলাদেশ মানবতা ফাউন্ডেশনের সদস্য মাহমুদুল হাসান মিশু, মোহাম্মদ সবুর শেখ প্রমুখ । নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিক নির্যাতনকারী এসআই আক্রামকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিভাগীয় ব্যবস্থা ও আইনের আওতায় এনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে । অন্যথায় বিইউজেএস এর নেতৃত্বে সারাদেশে কঠোর কর্মসূচি পালন করবে সাংবাদিক সমাজ । বাংলাদেশ সন্মিলিত সাংবাদিক সোসাইটি বিইউজেএস এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এম এ মমিন আনসারী বলেন, এসআই আক্রাম হোসেনের পৃষ্ঠপোষকতা ও সংশ্লিষ্টতায় ময়মনসিংহে ঘটে মাদকের জমজমাট ব্যবসা । তিনি ময়মনসিংহে কর্মরত থাকাকালে যৌনপল্লীতে ঘটে নারী পাচারের ঘটনা । সন্ত্রাস আর অস্ত্রের ঝনঝনানিসহ অপরাধ কার্যক্রম । এই অপরাধ কার্যক্রমের পেছনে ছিল এসআই আক্রাম হোসেন । এসব অপরাধ কার্যক্রমে ছিল তার প্রত্যক্ষ আর পরোক্ষ সম্পৃক্ততা । এসবের সাথে যুক্ত করেন গ্রেপ্তার বাণিজ্য । হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা । সেই সময়ে র্যাবের অভিযানে উদ্ধার হয় অস্ত্র ও বিপুল মাদক ও গ্রেপ্তার হয় সংশ্লিষ্ট অনেকেই । এসআই আক্রাম হোসেনের এহেন কর্মকান্ডের সংবাদ প্রকাশ হয় দৈনিক ময়মনসিংহ প্রতিদিনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে । এতেই আক্রামের রোষানলে পড়েন সাংবাদিক রফিক। এতে সাংবাদিকতার কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন এসআই আক্রাম হোসেন, বাংলাদেশ সন্মিলিত সাংবাদিক সোসাইটির মহাসচিব বিএম আশিক হাসান বলেন, সাংবাদিক বিদ্বেষী, ঘুষখোড়, নির্যাতনকারী ও দুর্নীতিবাজ এসআই আক্রাম হোসেনকে আইনের আওতায় আনা না হলে দিন দিন সে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে যা কিনা গোটা পুলিশ বাহিনীর সুনাম ও ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করবে।