সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে লেগুনা চালক ও হেলপাররা। র্যাব-১১’র অভিযানে মহাসড়ক থেকে চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের কারণে কিছুদিন চাঁদাবাজী বন্ধ থাকলেও আবারো চাঁদাবাজরা দৌরাত্ম শুরু করেছে বলে অভিযোগ লেগুনা চালক ও হেলপারদের।
অভিযোগে জানা যায়, লেগুনা চালক ও হেলপারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রত্যেকটি লেগুনা থেকে ১৮০টাকা করে জোরপূর্বক চাদাঁ আদায় করছে র্যাব-১১‘র হাতে গ্রেফতার হওয়ার জামিনে আসা জুয়েল ও তার সহযোগী রতন ও দেওয়ান। দীর্ঘদিন ধরে চাদাঁবাজ রাশেদের নেতৃত্বে তারা পরস্পর যোগসাজশে শিমরাইল এলাকায় চলাচলরত লেগুনার চালক ও হেলপারদের কাছ থেকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ১৮০টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করছে বলে অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ের ডাচ বাংলা ব্যাংক এর সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর চলাচলরত লেগুনা থামিয়ে চাঁদা আদায়কালে চাঁদাবাজ চক্রের সক্রিয় সদস্য মোঃ জুয়েল রহমান (২৫) কে হাতে-নাতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। এ সময় তার দখল হতে চাঁদাবাজির নগদ ২,৭৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এসময় উপস্থিত স্বাক্ষী, লেগুনা চালক ও গ্রেফতারকৃতকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সড়কে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে র্যাব ও পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানের ফলে চিটাগাং রোডে চাঁদাবাজি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলেও সম্প্রতি একটি চাঁদাবাজ চক্র চিটাগাং রোড হতে যাত্রাবাড়ী লেইনে চলাচলরত লেগুনা হতে চাঁদাবাজি শুরু করে। উক্ত চাঁদাবাজ চক্র চালক ও হেলপারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে লেগুনা প্রতি ১৮০/- টাকা আদায় করে আসছে। র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মোঃ রাশেদ এর নেতৃত্বে তারা পরস্পর যোগসাজশে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় চলাচলরত লেগুনা ড্রাইভার ও হেলপারদের নিকট হতে গুরুতর আঘাত ও ক্ষয়ক্ষতির ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছে। এ সকল চাঁদাবাজদের অত্যাচারে লেগুনা চালকরা অতিষ্ঠ। চাঁদাবাজি বন্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।