শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আজ শুক্রবার | ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নারায়ণগঞ্জ ক্রিকেটের অগ্রদূত ছিলেন যারা

শনিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২১ | ১১:২০ পূর্বাহ্ণ

নারায়ণগঞ্জ ক্রিকেটের অগ্রদূত ছিলেন যারা

সেই সূচনালগ্ন থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাথে নারায়ণগঞ্জ-এর নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত নারায়ণগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক পথে হাটার সুযোগ পেয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম,শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ, শাহাদাৎ হোসেন রাজীব,মোহাম্মদ শরীফ,মোহাম্মদ শহীদ, রনি তালুকদার, নাজমুল ইসলাম অপু প্রমুখ।

এছাড়াও প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেট সহ মাঠ দাপিয়ে বেড়ানোর রেকর্ড আছে জুয়েল হোসেন মনা,আরমান হোসেন জুয়েল,তৌহিদ হোসেন শ্যামল সহ আরো অনেকে।

নারায়ণগঞ্জ ক্রিকেটের পথ চলায় তাঁরা অনুপ্রেরণা ও অনুসরণীয় ব্যাক্তিবর্গ। বিভিন্ন পত্রপত্রিকা থেকে সংগ্রহীত তথ্য থেকে প্রথমেই জাহাঙ্গীর আলম সম্পর্কে জানা যায়।

জাহাঙ্গীর আলমঃ কালেরকন্ঠের এক সাক্ষাৎকার থেকে তাঁর অনেকগুলো ডাক নাম পেলেও ‘দুলু ‘ নামটিই এখানে শোভা পায়।জন্ম- ৫মার্চ,১৯৭৩ সালে, প্রাণের শহর নারায়ণগঞ্জে। বাংলাদেশ বিমান,প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেট বা ঘরোয়া ক্রিকেটে দাপুটে এক নাম টাইগার জাহাঙ্গীর। দলের উদ্বোধনী এই ব্যাট্সম্যান জাতীয় দলের সদস্য ছিলেন ১৯৯৭-১৯৯৯ পর্যন্ত। ৩ টি আন্তর্জাতিক ওডিআই(ODI) খেলায় সুযোগ পেয়েছিলেন মাঠ দাপিয়ে বেড়ানো এই ক্রিকেটার। ১৯৯৪ সালে কেনিয়ায় অনুষ্ঠিত ICC ট্রফিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে উল্লেখযোগ্য ১১৭* রান করেন মারকুটে এই ওপেনার। এরপর নেদারল্যান্ডস ও কেনিয়ার বিপক্ষে যথাক্রমে ৪৮ ও ৫৭ রান করতে সমর্থ হন ডানহাতি এই ওপেনার। এছাড়া ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ ICC ট্রফি জয়ী দলের সদস্য এবং ১৯৯৯ বিশ্বকাপ দলেও স্কোয়াডে টাইগার জাহাঙ্গীর এর নাম ছিলো।

শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎঃতিনি ১৯৭৬ সালের ১জুন নারায়ণগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ারের হিসেব-নিকেশ করে চমৎকার গল্প পড়া যায়। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান বাংলাদেশ দলের উদ্বোধনী টেস্ট দলের ওপেনার হিসেবে দলের সাথে ছিলেন।

ভারতের বিপক্ষে ২০০০ সালে ১০ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে টেস্ট ক্রিকেটের সুচনায় ওপেনার হিসেবে তিনি ১২ রান সংগ্রহ করেন। ২০০৪ সালে তিনি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট খেলে টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানেন। মারকুটে এই ব্যাটসম্যান তাঁর একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন ১৯৯৭ সালের ১০ অক্টোবর, কেনিয়ার বিপক্ষে।

১৯৯৯-এর বিশ্বকাপে তিনি পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৯ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন এবং দলকে জয় উপাহার দিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।শোয়েব আখতার,ওয়াসিম আক্রাম এবং ওয়াকার ইউনুসের মত বাঘা বাঘা বোলারের শর্ট ডেলিভারিতে তিনি কতগুলো সহজাত ও দৃষ্টিনন্দিত ড্রাইভে ৩৯ রান করতে সমর্থ হন। বিদ্যুৎ ,তাঁর ক্যারিয়ারে ৩ টেস্টে ১৯.৮০ গড়ে মোট ৯৯ রান করেন,যেখানে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৮ রান। একদিনের আন্তর্জাতিকে সর্বোচ্চ ৯৬ রানের ইনিংস খেলেন এবং প্রথম বাংলাদেশী সেঞ্চুরিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জনে ব্যর্থ হন। ক্যারিয়ারে ২০ ম্যাচে ১৯.০৫ গড়ে সর্বমোট ৩৬২ রান সংগ্রহ করেন।

মোহাম্মদ শরীফঃ (জন্ম- ১২ ডিসেম্বর, ১৯৮৫) আমাদের নারায়ণগঞ্জ জেলায়। তিনি বাংলাদেশে জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন ২০০১-২০০২ সময়কালে। দলে অলরাউন্ডার হিসেবে খেলেছেন নারায়ণগঞ্জের এই ডানহাতি অলরাউন্ডার। ঘরোয়া ক্রিকেটে ঢাকা বিভাগ,বিমান বাংলাদেশ,বরিশাল বিভাগ ও রংপুর রাইডারসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন মোহাম্মদ শরীফ। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১০ টেস্ট ও ৯ টি ওডিআই(ODI) খেলেছেন। টেস্টে ৭.১৫ গড়ে মোট সংগ্রহ ১২২ যেখানে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ সংগ্রহ ২৪* এবং ওডিআই ( ODI)-এ ১৩.২৫ গড়ে করেছেন ৫৩ রান।সর্বোচ্চ ১৩*। পর্যাপ্ত সুযোগ পেলেও আলো ছড়াতে ব্যর্থ হওয়ায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাকে আর দেখা যায়নি।

শাহাদাৎ হোসেন রাজীবঃ সে সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সেরা ফাস্ট বোলার ছিলেন শাহাদাত হোসেন। জন্ম ১৯৮৬ সালের ৭ আগস্ট,আমাদের প্রিয় নারায়ণগঞ্জ জেলায়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০০৫ সালের ২৬ মে ক্রিকেটের স্বর্গ লর্ডসে টেস্ট খেলার মাধ্যমে ক্রিকেট পাড়ায় তাঁর অভিষেক হয়। একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ সূচনা হয় ২০০৬ সালের ১৭ই মার্চ,কেনিয়ার বিপক্ষে। সর্বশেষ ২০১৩ সালে ৮ মার্চ টেস্ট ও ২৮ মার্চ একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার মধ্য দিয়ে তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সমাপ্তি ঘটে। ঝোড়ো গতির এই ফাস্ট বোলার ৩৫ টেস্টে ৫১.৯০ গড়ে মোট ৭০ উইকেটের মালিক যেখানে এক ম্যা চে ৫ উইকেট পেয়েছেন ৪বার। একদিনের আন্তর্জাতিক ৫১ ম্যাচে ৪৫.৫৯ গড়ে শিকার করেন ৪৭টি উইকেট।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন