বন্দর প্রতিনিধি: সিদ্ধিরগঞ্জের দুই শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বন্দরে এনে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষনের ঘটনায় পুলিশ দুই লম্পট ধর্ষককে আটক করতে সক্ষম হলেও পালিয়েছে অপর এক ধর্ষক। গত ২৮ সেপ্টম্বর সোমবার রাতে বন্দর থানার নবীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধারসহ ওই লম্পটদের আটক করা হয়। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার পিতা/মাতা উভয় বাদী হয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পৃথক ২টি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২৯(৯)২০ ও ৩০(৯)২০। আটককৃত লম্পট ধর্ষকরা হলো বন্দর উপজেলার ফুলহর এরাকার জয় মিয়ার ছেলে রিফাত (১৯) ও একই এলাকার রমিজ উদ্দিন রমু মিয়ার ছেলে রিফাত (২০)। ও বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জস্থ রুপনগর এলাকার পলাতক ধর্ষক ভূট্টু সুমন। পুলিশ ২৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে ভিকটিম দুই শিক্ষার্থীকে ডাক্তারি পরিক্ষা শেষে ২২ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেছে।
পুলিশ একই দিনে আটককৃত নরপশু দুই ধর্ষককে পৃথক দুইটি মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে। দুইটি মামলার বাদী ও বাদিনী নাম প্রকাশ না করার শর্তে গনমাধ্যমকে জানিয়েছে, গত ২১ সেপ্টেম্বর বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার গোদনাইল এলাকার স্থানীয় স্কুলের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী (১৩) ও তার মামাত বোন একই এলাকার একটি মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে বাসা থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফিরেনি। পরে অনেক খোজাখুজি করে আমার মেয়ে ও আমার ভাগ্নিকে কোন সন্ধান পায়নি।
পরে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সোমবার রাত প্রায় ১১টায় বন্দর উপজেরার ফুলহর এলাকার রমিজ উদ্দিন রমু মিয়ার ছেলে রিফাত একই এলাকার জয় মিয়ার ছেলে রিফাত আমাদের বাড়িতে আমরা আমাদের মেয়ে ও ভাগ্নি কোথায় আছে জানতে চাইলে তারা ঠিকানা না দিয়ে নানা ভাবে তালবাহানা করে ।
এ ব্যাপারে আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অভিযোগ দায়েরের ওই রাতে নবীগঞ্জ এলাকা থেকে আমার মেয়ে ও আমার ভাগ্নিকে উদ্ধারসহ ২ লম্পটকে আটক করে। এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ ফখরুদ্দীন ভূইয়া জানান, দুই শিক্ষার্থী ধর্ষনের ঘটনায় থানায় পৃতক দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ মামলা দায়েরের ওই রাতে দুই ধর্ষককে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সে সাথে ভিকটিমদের ডাক্তারি পরিক্ষা পর ২২ ধারায় আদালতে প্রেরণ করনা হয়েছে। পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।