শনিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ শনিবার | ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সিদ্ধিরগঞ্জে মাছের আড়ৎ ব্যবসায়ীর দেড় লক্ষাধিক টাকা ছিনতাইর ঘটনায় বাদীকে সন্ত্রাসী জিতুর হুমকি

বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ৫:৫৯ অপরাহ্ণ

সিদ্ধিরগঞ্জে মাছের আড়ৎ ব্যবসায়ীর দেড় লক্ষাধিক টাকা ছিনতাইর ঘটনায় বাদীকে সন্ত্রাসী জিতুর হুমকি

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিদ্ধিরগঞ্জে মাছের আড়ৎ ব্যবসায়ীর ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ছিনতাইর ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করায় ছিনতাইকারি চক্রেরর প্রতিনিয়তই হুমকি প্রদান করছে বলে অভিযোগকারী জাকির হোসেনের অভিযোগ। মামলা না করার জন্য ছিনতাইকারি চক্রের মূল হোতা সন্ত্রাসী জহিরুল ইসলাম জিতু প্রতিনিয়তই হুমকি প্রদান করছে বলে অভিযোগকারী জাকির হোসেনের অভিযোগ। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নাসিক ৪নং ওয়ার্ড উত্তর আজিবপুর এলাকা থেকে তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মোঃ সিফাত (২২) ও আবেদ আলীর ছেলে মোঃ আল আমিন (৩২), গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাত ৯ টার দিকে মাছের আড়ৎ এর তাগাদা করে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা সঙ্গে নিয়ে বাসায় ফিরছিল। এ সময় আটি এলাকার মসজিদের পাসে স্থানটি (অন্ধকার) পৌঁছলে আটি এলাকার মৃত হারুন অর রশিদের ছেলে সন্ত্রাসী জহিরুল ইসলাম জিতু (৩২), মোঃ মুসলেউদ্দিনের ছেলে নাদিম (৪৫), মোঃ নাজিমের ছেলে পুলক (২৫) এবং রাসেলসহ অজ্ঞাত কয়েকজন সিফাতের পরিল্পিত ভাবে পথরোধ করে মারধর করে ও সঙ্গে থাকা সমস্ত টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে ভুক্তভুগীদের ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ছিনতাইকারীরা প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।এ ঘটনায় রাতেই সিফাতের মামা মোঃ মোঃ জাকির হোসেন বাদী হয়ে উল্লেখিত ছিনতাইকারিদের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানার এসআই আমিনুল অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়।এ বিষয় থানায় অভিযোগের বিষয়টি জানার পর জহিরুল ইসলাম জিতু গংরা এলাকার মুরিব্বিদের নিয়ে সমজতা করার জন্য উভয় পক্ষের সাথে কথা বলেন। অপরদিকে অভিযোগ করার পর নাসিক ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগমের সাথে উভয় পক্ষের মুরিব্বিদের নিয়ে সালিশ বিচার করার দায়িত্ব নিয়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেন। নির্ধারিত তারিখে কাউন্সিলরসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বৈঠক বসলে বাদী পক্ষ উপস্থিত হলেও বিবাধী পক্ষ হাজির হয়নি। ফলে বিচার সালিশ সিদ্ধান্ত থেকে সরে গিয়ে বাদী পক্ষকে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য পরামর্শ দিয়ে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও উপস্থিত গন্যমান্য ব্যক্তিরা লিখিত ভাবে সামাজিক বিচার কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ায়। পরে বাদী আইনগত ব্যাবস্থা নিতে পুলিশের কাছে গেলেও পুলিশ মামলা নিচ্ছেননা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আমিনুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন