নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ডিএনডি প্রকল্পের দায়িত্বরত সেনা কর্মকর্তাদের যাতায়াতে ব্যবহৃত একটি নোয়া মাইক্রো ও ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় মাইক্রোটি টেনে হিচড়ে প্রায় ৪০০ ফুট দূরে নিয়ে যায় দ্রুতগামী ট্রেন। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। মাইক্রোবাসটিতে তখন চালক ছাড়া কেউ ছিলো না। চালক মাথায় ও হাতে আঘাত পেয়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত চালক আব্দুল জলিলকে (৩০) মাইক্রো থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশ জানিয়েছে আহত মাইক্রো চালকের বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি তিনি সুস্থ আছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় ফতুল্লার নন্দলালপুর অবৈধ রেলক্রসিংয়ে। ট্রেনটি এসময় নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকার কমলাপুরে যাচ্ছিল। খবর পেয়ে ডিএনডি প্রকল্পে দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে রেলওয়ে পুলিশের এসআই মোকলেছ জানান, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) মেগা প্রকল্পে দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর সদস্যদের যাতায়াতে (ঢাকা-মেট্রো-চ ১৯-৯১১১) নোয়া মাইক্রোটি ব্যবহৃত হয়। গাড়িতে সেনাবাহিনী লেখা স্টীকারও ছিল। বিকেল ৩টার সময় নারায়ণগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রেন কমলাপুর রেলষ্টেশনে যাচ্ছিল। এসময় নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর থেকে ওই নোয়া মাইক্রোবাসটি চালক আব্দুল জলিল একাই চালিয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যদের নেয়ার জন্য ফতুল্লার পাগলা এলাকায় যাচ্ছিল। তখন ফতুল্লার নন্দলালপুর এলাকায় একটি অবৈধ রেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় ট্রেন এসে মাইক্রোটিকে টেনে হিচড়ে অন্তত ৪০০ ফুট দুরে নিয়ে ফেলে। ওই সময় স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে মাইক্রো থেকে চালককে উদ্ধার করে পাগলা এলাকায় একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চালক আব্দুল জলিলকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরন করেছেন।
তিনি আরো জানান, চালক আব্দুল জলিলের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি তার বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। জলিল সেনাবাহিনীর গাড়ি চালক হলেও তিনি বেসামরিক।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান,অবৈধ রেল ক্রসিংয়ের বিষয়ে আমরা রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। সেখানে এরআগেও একাধিক দূর্ঘটনা ঘটেছে। ওই স্থানটি খুবই ঝুকিপূর্ন। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম থেকে পাগলা এলাকায় যাতায়াতে নন্দলালপুর ওই অবৈধ রেল ক্রসিংটি ব্যবহৃত হয়। এ ক্রসিংটি বন্দ করে দিলেও ব্যবসায়ীসহ জনসাধারণের দুর্ভোগ বাড়বে আর চালু রাখলে এখানে একজন গেইটম্যান নিয়োগ দিতে হবে। আর নয়তো হতাহতের ঘটনা ঘটতেই থাকবে।