নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জমি দখল নিয়ে বিরোধের জেরে প্রভাবশালি দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণ, দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শনসহ বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর করা হয়।
এই সংঘর্ষে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ সহ অন্তত দশজন আ হত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনলে আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া এলাকায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ওরফে আন্ডা রফিক গ্রুপ ও ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফায় এই সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয়রা জমি বিক্রি না করায় কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ওরফে আন্ডা রফিক ও তার ভাই মিজানুর রহমান ওরফে কুত্তা মিজানের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশত সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বেলা সাড়ে এগারোটায় নাওড়া এলাকায় হামলা চালায়।
এসময় কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি হাজী মোতালেব ভূঁইয়াসহ স্থানীয়দের বেশ কয়েকজনের বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন ও তার লোকজন সহ গ্রামবাসি সন্ত্রাসিদের প্রতিহত করতে গেলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। বিকেল তিনটা পর্যন্ত কয়েক দফায় ধাওয়া-পালটা ধাওয়া, বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়।
এসময় গুলিবর্ষণ, ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও রাম দা, চাপাতি সহ ধারালো অস্ত্র প্রদর্শন করতে দেখা যায়। প্রায় তিন ঘন্টার সংঘর্ষে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ সহ অন্তত দশ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পরে আহতদের রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) মো: আবির হোসেন বলেন, নাওড়া এলাকায় সংঘর্ষের খবর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করি বর্তমানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
শুনেছি বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে এবং তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে কেউ আমাদের কাছে কোন অভিযোগ দেয় নি। তবে আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।। অভিযোগ পেলে তদন্ত অনুযায়ি যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।