সোনারগাঁয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নোয়াগঁাও ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সম্পাদক নজরুল ইসলাম ভূঁইয়াকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় মাঝের চর সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের লাইনম্যান জাকির হোসেনসহ সাতজনের নাম উল্লেখসহ আরও পঁাচজনকে অজ্ঞাত প্রধান আসামি করা হয়।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে নিহতের স্ত্রী আসমা আক্তার বাদী হয়ে সোনারগঁা থানায় এ মামলা দায়ের করেন। এরআগে নিহত নজরুল ইসলাম ভূঁইয়ার ময়না তদন্ত শেষে সন্ধ্যায় চর নোয়াগঁাও এলাকায় জানাজা শেষে কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনারগঁা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম এম কামরুজ্জামান বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলমান।
মামলার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নোয়াগঁাও ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সম্পাদক ও চর নোয়াগঁাও গ্রামের শফেদ আলী ভূঁইয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বিকেলে রূপগঞ্জের ভূলতা গাউছিয়া এলাকায় ব্যবসায়ের কাজে যাচ্ছিলেন। পথে জামপুর ইউনিয়নের মাঝের চর বাসস্ট্যান্ডে গাউছিয়া যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় উঠেন।
দীর্ঘ সময় কোনো যাত্রী না উঠার কারণে তিনি অটোরিকশা থেকে নেমে অন্য আরেকটি গাড়িতে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেন। এসময় অটোরিকশা থেকে নেমে যাওয়ার কারণে অটোরিকশার লাইনম্যান জাকির হোসেন ও অটোচালকের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক ও ধ্বস্তাধস্তি হয়।
এক পর্যায়ে লাইনম্যান জাকির হোসেন তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। এ সময় জাকির ও অটোচালকের সঙ্গে স্ট্যান্ডের অন্যান্য অটোচালকরা তাকে কিল ঘুষি দিয়ে মারধর করেন। তাদের পিটুনিতে ঘটনাস্থলে নজরুল ইসলাম অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে আড়াই হাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।