সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিদ্ধিরগঞ্জের সাহেবপাড়া এলাকায় রাস্তায় বাজার বসিয়ে চলছে বাণিজ্য। ডিএনডি ক্যানেল পাড়সহ রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে বাজার গড়ে তুলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আসলাম ওরফে বরিশাইল্যা আসলাম বাহিনীর বিরুদ্ধে। বাজার থেকে টাকা আদায়কারী মামুনকে আটক ও বাজারটি ভেঙে দিয়েছিলেন ডিএনডি প্রকল্পে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তার পরও রহস্যজনক কারণে আবার বাজার বসিয়ে চালাচ্ছে চঁাদাবাজি।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নং ওয়ার্ডের সাহেবপাড়া এলাকায় ডিএনডি ক্যানেলপাড় ও জনচলাচলের রাস্তা দখল করে কঁাচা বাজার গড়ে তুলেছে আসলাম। বাজারে রয়েছে শতাধিক দোকানপাট। প্রতিটি দোকান থেকে দৈনিক ২ থেকে আড়াইশত টাকা করে চঁাদা আদায় করা হচ্ছে। পরিসংখ্যান মতে বাজারটি থেকে দৈনিক চঁাদা আদায় হচ্ছে কমপক্ষে ২৫ হাজার টাকা। যা মাসে দঁাড়ায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা। এছাড়াও বাজারে অবৈধভাবে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। প্রতি দোকান থেকে দৈনিক ৩০ টাকা করে বিদ্যুৎ বিল আদায় করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সাহেবপাড়া এলাকার আসলাম ও বাছেদ বাজারের মূল হর্তাকর্তা। চঁাদা আদায় করার জন্য মামুন নামে একজনকে বেতনভূক্ত কর্মচারী রাখা হয়েছে। বাজারটির কারণে ডিএনডি প্রকল্পের উন্নয়ন কাজে বিঘ্ন ঘটছে। ফলে বাজার থেকে চঁাদা আদায়কারী মামুনকে কিছুদিন আগে ডিএনডি প্রকল্পে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর সদস্যরা আটক করে ছিলেন। পাশাপাশি বাজারটি ভেঙে দিয়েছিলেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। কিন্তু সেনাবাহিনী ম্যানেজ করার কথা বলে প্রতি দোকানদারদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা করে অগ্রিম নিয়ে আবার বাজার বসানো হয়েছে। এতে সেনাবাহিনীর মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাই অবৈধ বাজার বসিয়ে চঁাদাবাজ চক্রের হোতা আসলাম ও বাছেদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আসলাম বলেন, সেনাবাহিনী ভেঙে দেওয়ার পর থেকে বাজারের নিয়ন্ত্রন ছেড়ে দিয়েছি।এখন ওমর আলী ও কোমর আলী তারা দুই ভাই বাজারের দেখাশোনা করছে।
ওমর আলীর ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন করলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তার ভাই কোমর আলী বলেন, আমি বাজারের বিষয়ে কিছুই জানিনা। কেউ বলে থাকলে তা সঠিক নয়।