শরীফ আহমেদ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনঃ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্র ফারদিন নূর পরশের ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। ভোঁতা কোনো দেশীয় অস্ত্র বা লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করায় রক্তক্ষরণের কারণে ফারদিনের মৃত্যু হয় বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মৃতদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ফারদিনের পুরো মাথায়ই আঘাতের কালশিটে দাগ রয়েছে। তার মাথায় ৪-৫টি এবং বুকের দুই পাশে ২-৩টি ভোঁতা দেশীয় অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ফারদিনের পাঁজরের ডান এবং বাম পাশেও কালশিটে দাগ রয়েছে। তবে তার শরীরের কোনো হাঁড় না ভাঙলেও ফুসফুসে জমাট বাঁধা কিছুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মশিউর রহমান বলেন, তার পাকস্থলীতে খাবারের সঙ্গে অন্য কিছু ছিল কি না সেটা পুলিশ জানতে চেয়েছিল। এ জন্য আমরা কেমিক্যাল অ্যানালাইসিস ও ভিসেরা রিপোর্টের জন্য নমুনা পাঠিয়েছি।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারী ) ফারদিন হত্যা মামলার তদন্ত কর্তৃপক্ষ ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, ঘটনার রাত সোয়া ২টার দিকে যাত্রাবাড়ী মোড়ে ফারদিনকে দেখা গেছে। সাদা গেঞ্জি পরা এক যুবক তাকে লেগুনায় তুলে রুপগ্ন্জ তারাবোর দিকে নিয়ে যায়। ওই লেগুনায় আরো চারজন ছিল। লেগুনার চালক ও সহযোগীদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
ডিবি হারুন অর রশীদ আরো বলেন, ফারদিনের মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। কোথায় তাকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে র্যাব কর্মকর্তাদের ধারণা, রূপগঞ্জের চঁনপাড়ায় খুন হন ফারদিন। র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান গত রোববার জানান, এটা একেবারেই ক্লুলেস একটা ঘটনা। অনেক প্রশ্নের উত্তরই মিলছে না। ফারদিনের মোবাইল ফোনের লাস্ট লোকেশন থেকে বডি পাওয়া গেছে বেশ দূরে। সেখানে কীভাবে গেল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বুয়েট ছাত্র ফারদিন নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর গত বছর ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। বর্তমানে হত্যা মামলাটির তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সিআইডি । পাশাপাশি র্যাবসহ আরো কয়েকটি সংস্থা মামলা তদন্ত করছে।আগামী ২৮/০১/২৪ আদালতে শুনানি হবে।