নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সৎ মাকে হত্যার ঘটনায় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে ছেলে আমির হোসেন (২২)। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের লাভরাপাড়া এলাকায় পারিবারিক কলহের জের ধরে সেলিনা আক্তার নামে ওই মানসিক প্রতিবন্ধি নারীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে আমির।
নিহত সেলিনা আক্তার (৪০) আড়াইহাজার উপজেলার লষ্করদি এলাকার তাহের আলীর মেয়ে এবং উপজেলার লাভরাপাড়া এলাকার নুরু মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, সৎ মাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা ঘটনায় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে ছেলে আমির হোসেন। সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে পুলিশের কাছে। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক ছিলো। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলা ও নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি আরও জানান, প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর গত তিন বছর আগে উপজেলার লাভরাপাড়া এলাকার নুরু মিয়ার সঙ্গে সেলিনা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে তিনি জানতে পারেন যে, সেলিনা আক্তার মানসিক প্রতিবন্ধি। নুরু মিয়ার আগের সংসারের ছোট ছেলে আমির হোসেনের স্ত্রী বিথী আক্তারের সঙ্গে সৎ মা সেলিনা আক্তারের প্রায় সময় বাকবিতণ্ডা হতো।
এরই জেরে গত ১১ জানুয়ারি বিথী আক্তার তার সৎ শাশুড়ির সঙ্গে চুলায় রান্না করা ও বিছানায় প্রশ্রাব করা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। মঙ্গলবার রাতে বাবা নুরু মিয়ার অনুপস্থিতিতে সৎ মা সেলিনা আক্তারের সঙ্গে ছেলে আমির হোসেনের এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সেলিনা আক্তার ধারালো ছুরি নিয়ে ছেলের দিকে তেড়ে যান। এসময় আমির হোসেন তার হাত থেকে ছুরি কেড়ে নিয়ে তাকেই আঘাত করে হত্যা করে।