ফাহাদুল ইসলাম সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ কাচঁপুর হাইওয়ে পুলিশ ও সোনারগাঁ ভূমি মেজেস্টেট আল মামুন এর উদ্যোগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগড়াপাড়া চৌরাস্তায় পূর্ব -পশ্চিম পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও দখলমুক্ত হচ্ছে না অবৈধ স্থাপনা ও ফুটপাত দখলদারি।গত ২৫-১১-২০২০ ইংরেজি রোজ বুধবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত মোগরাপাড়া (ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক)চৌরাস্তার পূর্ব-পশ্চিমে দুপাশের অবৈধ দখল করে রাখা মহাসড়কে গড়ে উঠা প্রায় ২ শতাধিক দোকানপাট ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কাচঁপুর হাইওয়ে থানার ওসি মনিরুজ্জামান ও টিআই মেহেদী হাসান সহ পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা। হাইওয়ে থানার ওসি মনিরুজ্জামান এ অভিযান সোনারগাঁ থানার গণমাধ্যমকর্মী ও কমিউনিটি পুলিশ সহ স্থানীয় সচেতন নাগরিক দের কে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন,ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে মহাসড়কে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ছোট ছোট দোকানপাট , মিনি বাস কাউন্টার ও অন্যান্য অবৈধ স্থাপনা আমরা হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি এবং চালিয়ে যাব।
মহাসড়কে পরিবহণে চাঁদাবাজি ও যানজট নিরসনে ও অবৈধ থ্রীহুইলার বন্ধেও আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এই উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এছাড়াও ওসি মনিরুজ্জামান বলেন সোনারগাঁওয়ে থানায় যতদিন আমি দায়িত্বরত অবস্থায় থাকবো অন্যায়ের কাছে কখনও মাথা নত করব না, একজন হাইওয়ে থানার ওসি হিসেবে যতটুকু ক্ষমতা আমার আছে আমি চেষ্টা করব সাধারণ জনগণের পক্ষে থাকার জন্য ইনশাআল্লাহ। পরিবহনে চাঁদাবাজি ও অবৈধভাবে স্থাপনার অভিযান অব্যাহত থাকবে এতে কেউ কোন ভাবে প্রভাবিত করতে পারবে না, অতি প্রয়োজনে ম্যাজিস্ট্রেট এর মাধ্যমে কঠোরভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমি সৎ ও সততার সাথে সোনারগাঁ বাসীর সাধারন জনগনের জন্য কাজ করে যেতে চাই কোন চাঁদাবাজ, অবৈধ দখলদার ,স্থাপনা আমার কাছে ছাড় পাবে না।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানা ও এসিলেন্ট আল মামুন একাধিক বার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালালেও কোনভাবেই মানছে না দখলদারি ফুটপাত দখল দাড়ি ব্যক্তিরা। কেন বা কারা কাদের নেতৃত্বে কাদের ছত্রছায়ায় এ দখলদারি স্থাপনা চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে প্রশ্ন সাধারণ পথচারী ভুক্তভোগী জনগণের। প্রশাসনকে প্রকাশ্যে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে পরিবহনে চাঁদাবাজি ফুটপাত দখল দাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে অনায়াসে। এ ব্যাপারে সোনারগাঁয়ের ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষের দাবি অনতিবিলম্বে যেকোনো উপরমহলের হস্তক্ষেপ অতি জরুরী। অন্যথায় এভাবেই সরকারকে ফাঁকি দিয়ে সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল করে ফায়দা নিতে থাকবে একশ্রেণীর কুচক্রী মহল।